Salman Khan: বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানোর উঠেছিল অভিযোগ। সেই ঘটনায় মুম্বাই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনকি ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে এক অভিযুক্তের। আর এবার প্রকাশ্যে চলে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মুম্বাই পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেতার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনার অনেক আগেই নাকি তাঁর পানভেল ফার্ম হাউসে অভিনেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্তরা। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেল বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, কানাডায় বসবাসকারী তার কাকাতো ভাই আনমোল বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার অঙ্গলী হেলনে পাকিস্তান থেকে একগুচ্ছ আধুনিক অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল ভারতে। সেই অস্ত্র ব্যবহার করেই অভিনেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেতার খামার বাড়িতে হামলা চালানোর উদ্দেশ্য ছিল এই দলটির। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা এখনো জানতে পারেনি কেন তারা অভিনেতার বাড়িতে গুলি চালানোর আরও একটি পরিকল্পনা করেছিলেন। গত সপ্তাহে পানভেলের এফআইআর এর জন্য মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছিল নভী মুম্বাই পুলিশ আর তারপরেই বিষ্ণোই গ্যাংএর অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন সদস্যের সন্ধান চালিয়েছে পুলিশ যারা ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সালমান খানের খামার বাড়ির আশেপাশে করেছিল রেইকি।
ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি গুলি চালানোর যে ঘটনা ঘটে তারপর তিনি জানতে পারেন যে বিষ্ণোই কিছু লোককে নবী মুম্বাইয়ে পাঠিয়েছিলেন যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ধনঞ্জয় তাপসিং ওরফে অজয় কাশ্যপ, গৌরব ভাটিয়া ওরফে নাহভি, ওয়াসপি খান ওরফে ওয়াসিম চিকনা এবং রেজওয়ান খান ওরফে জাভেদ খান। এই চারজনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তারপরেই জানা যায় যে অজয় কাশ্যপ ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে পাকিস্তানে বসবাসকারী জোগাড় নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে বলতেন কথা। সেখান থেকেই আনা হয়েছে একগুচ্ছ অস্ত্র।
এখানেই শেষ নয়, সালমান খানের কার্যকলাপ এবং গতিবিধির সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার জন্য লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংএর বেশ কিছু সদস্য সালমান খানের খামার বাড়ির বাইরে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে পাতিয়েছিলেন বন্ধুত্ব, এমনকি সালমান খানের ভক্ত হওয়ার ভানও করতেন তারা যাতে অভিনেতার সম্পর্কে নানান তথ্য পাওয়া যায় সহজেই। খামার বাড়িতে যাওয়ার পথে মোট কতগুলি গর্ত রয়েছে সেই সংখ্যাটাও নাকি কাউন্ট করে রেখেছিলেন অভিযুক্তরা।