কথাতেই আছে ভোজন রসিক বাঙালি। নিত্যদিনের পাতে নানান ধরনের পদ থাকে বাঙালিদের। রকমারি তরী তরকারির সঙ্গেই মাঝেমধ্যে দুপুরের খাবারে নিজের জায়গা করে নেয় উচ্ছে। কারোর পছন্দ আলু উচ্ছে ভাজা, কেউ আবার খান সেদ্ধ। অনেকে আবার সর্ষে উচ্ছে খেতে ভালোবাসেন। যদিও তেতো এই সবজি অনেকেই আবার পছন্দ করেন না। বিশেষ করে বাচ্চা থেকে যুব এই সবজির নাম শুনলেই মুখ ঘুরিয়ে চলে যান অন্যদিকে। তবে এই সবজির গুণের তালিকাটা কিন্তু দীর্ঘ। শুক্তোর মতো আদ্যোপান্ত বাঙালি খাবারেও তাই উচ্ছে থাকাটা একেবারে মাস্ট।
বহু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ উচ্ছে শরীরের জন্য দুর্দান্ত উপকারী। আজকাল বাড়িতে বাড়িতে রয়েছেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী। নিত্যদিন তাদের ভরসা রাখতে হয় ওষুধ কিংবা ইনসুলিনে। তবে পাতে যদি থাকে উচ্ছে তাহলে কিন্তু এই সমস্যর হাত থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার ফলে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি প্রদাহ জনিত সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যায় উচ্ছে খেলে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, উচ্ছে খেলেই হুড়মুড়িয়ে কমবে সুগার। আসলে এই সবজি রক্তে সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যাপক উপকারী। এমনকি রক্তের শর্করার মাত্রা চটজলদি বাড়তে দেয় না এটি। এছাড়াও এতে রয়েছে পলি পেপটাইড পিন নামক এক ধরনের উপাদান। যা সুগারের স্পাইক আটকে দেয় অর্থাৎ হুট করে সুগার বেড়ে যায় না।
উচ্ছের জুস খেলে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা যদি প্রত্যেকদিন সকালে নিয়ম করে উচ্ছের জুস খেতে পারেন তাহলে কিন্তু সমস্যা কমে যাবে বহু গুণ।কমবে সুগার বাড়ার আশঙ্কা। তালিকাটা কিন্তু এখানেই শেষ নয়, যেহেতু উচ্ছেতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তাই এটি লিভারের খেয়াল রাখতে ব্যাপক উপকারী।
এতো গেল উচ্চের গুনাগুনের কথা। তবে অনেকেই যেটা জানেন না সেটা হল ইংরেজিতে এই তেতো সবজিকে ঠিক কী নামে ডাকা হয়? আজকের প্রতিবেদনে কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তরটাই দেওয়া হল। তাই আপনারও যদি উত্তর জানা না থাকে তাহলে অবশ্যই জেনে নিন। তাহলে আগামী দিনে যদি আপনাকে কেউ এমন প্রশ্ন করে তাহলে আর হকচকিয়ে যাবেন না, বরং সটান উত্তরটা দিয়ে দিতে পারবেন।
উচ্ছের বিজ্ঞানসম্মত নাম Momordica Charantia. ইংরেজিতে উচ্ছেকে বলা হয় Bitter Melon.