Pronam Smart Card: উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পর বেশিরভাগ যুবক যুবতী মনের মতো চাকরি করার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন ভিন রাজ্যে। কেউ আবার দেশ ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছেন বিদেশ। সময় যত এগোচ্ছে ততই কিন্তু বাড়ছে এই সংখ্যাটা। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যে সেভাবে চাকরি না থাকার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে যুবক যুবতীদের। আর এতেই বাড়িতে একা থেকে যাচ্ছেন বৃদ্ধ বাবা মা। ফলে তাঁদের নিরাপত্তা এবং শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে সর্বদাই চিন্তার মধ্যে থাকতে হয় ছেলেমেয়েদের। এমনকি সারা জীবন যে মানুষগুলি থাকেন অবিবাহিত তারা বৃদ্ধ অবস্থায় কী করবেন এই নিয়েও অনেকেই চিন্তায় থাকেন।
তবে এবার আর করতে হবে না সেই দুশ্চিন্তা। কারণ একটাই, আর সেটা হল এই সমস্ত মানুষগুলোর দায়িত্ব এবার নিজের ঘাড়ে তুলে নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কলকাতা পুলিশ। বয়স ৬০ এর গণ্ডি পেরোলেই একা থাকা নাগরিকদের সকল দায়িত্ব নিয়ে নেবে রাজ্য সরকার। আর সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিয়ে এলো Pronam স্মার্ট কার্ড। কীভাবে মিলবে এই কার্ডের সুবিধা? কীভাবেই বা করতে হবে আবেদন? এই প্রতিবেদনে রইল খুঁটিনাটি সকল তথ্য।
প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক Pronam স্মার্ট কার্ড হাতে থাকলে কোন কোন সুবিধা পাওয়া যাবে-
বাড়ির প্রবীণ নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদান করবে এই কার্ড।
আপৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা, একেবারে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বিনামূল্যের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ এবং যে কোনো বিপদে সাহায্য পাওয়া যাবে এই কার্ড হাতে থাকলে।
১ জন এএসআই, ২ জন হোম গার্ড বা সিভিক ভলেন্টিয়ারকে নিয়ে তৈরি হবে লিয়াজোন টিম। দায়িত্ব থাকবে এই সকল কাজ সম্পন্ন করার।
কারা আবেদন করতে পারবেন-
আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের প্রবীণ নাগরিক হতে হবে।
বয়স হতে হবে ৬০ বছর অথবা তার ঊর্ধ্বে।
আবেদনকারী প্রবীণ ব্যক্তিকে বা স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই একা বসবাসকারী হতে হবে।
কলকাতা পুলিশের এক্তিয়ারের মধ্যে থাকতে হবে। অর্থাৎ কলকাতা পুলিশের অধীনে অবস্থিত ৪৮ টি থানার অন্তর্গত যে কোনো একটি অঞ্চলের বাসিন্দা হতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি-
স্মার্ট কার্ড যদি হাতে পেতে হয় তাহলে সরাসরি চলে যেতে হবে কলকাতা পুলিশের অধীনে যে কোনো একটি থানায়।
সেখানে গিয়ে Pronam মেম্বারশিপ ফ্রম গ্রহণ করে সেটা ফিলাপ করে জমা দিতে হবে।
এরপর আবেদন পত্র নিকটস্থ থানায় দিতে হবে জমা। সঙ্গে অবশ্যই দুটি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে।