Post Office Senior Citizen Saving Scheme: বর্তমান সময়ে মানুষের প্রধান চিন্তার বিষয় হলো মূল্যবৃদ্ধি। দেশ জুড়ে যেভাবে প্রত্যেকটা জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি হয়ে চলেছে তাতে জীবন যাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে অধিকাংশ মানুষের জন্য। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালিয়ে টাকা সঞ্চয় করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে টাকা সঞ্চয় করাও অত্যন্ত প্রয়োজন। তার জন্য এমন একটি জায়গায় টাকা জমানা উচিৎ যেখান থেকে অল্প সময়ে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব এবং এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি যাতে সুরক্ষিত ভাবে হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত।
আরোও পড়ুন >> সঙ্গে রাখুন ছাতা, এই ৯ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস, আবহাওয়ার বিরাট আপডেট
ভবিষ্যতের টাকা সঞ্চয়ের জন্য শুরু থেকেই প্ল্যানিং করে নেওয়া প্রয়োজন। যাদের জন্য প্রতিমাসে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছেন তাদের জন্য চমৎকার সেভিংস প্ল্যান নিয়ে এসেছে পোস্ট অফিস। ভারতের সকল শ্রেণীর মানুষের কথায় মাথায় রেখেই পোস্ট অফিসের এই ধামাকাদার প্ল্যান। পোস্ট অফিসের একাধিক সেভিংস প্ল্যান রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে পাওয়া যেতে পারে ২০ হাজার ৫০০ টাকা।
পোস্ট অফিসের এই স্কিমে যদি কোন ব্যক্তি বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি প্রতি মাসে যে মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন সেটি পেনশনের কাজ করবে। এর ফলে বয়স কালে আর টাকার চিন্তা করতে হবে না। মূলত ৬০ বছর কিংবা তার অধিক বয়সের ব্যক্তিদের জন্য পোস্ট অফিসের এই প্ল্যানটি তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ সিনিয়র সিটিজেন এইসক্রিমের বিনিয়োগ করে তার লাভ গ্রহণ করতে পারবেন।
• পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে বিনিয়োগ পদ্ধতি –
পোস্ট অফিসের এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে প্রতিবছর সুদ হিসেবে ২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। এই স্কিমের হিসাব অনুযায়ী প্রতিমাসে ২০,৫০০ টাকা এবং প্রতি ত্রৈমাসিকে ৬১,৫০০ টাকা পাওয়া যাবে। তবে এখানে আপনি ন্যূনতম ১ হাজার টাকা থেকে বিনিয়োগ করতে পারেন। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ লক্ষ টাকা।
আরোও পড়ুন >> জুলাই মাসের শুরুতেই হবে গ্যাসের দামের পরিবর্তন! বদলাতে পারে আরও অনেক নিয়ম
এই স্কিমে বিনিয়োগে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের পরিমাণ হবে ৮.২%। একবার যদি ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যায় তাহলে প্রতি ত্রৈমাসিকে ১০,২৫০ টাকা পাওয়া যাবে। এই স্কিমে শুধুমাত্র সুদের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা পাওয়া সম্ভব।
এছাড়া এই স্কিমে একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এখানে ৮০সি-র অধীনে করছাড়ও পাওয়া যেতে পারে। প্রতি বছর ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা পেতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।