General Knowledge: ফল খেতে কমবেশি সকলেই ভালোবাসেন। বিশেষ করে গ্রীষ্ম প্রধান এই দেশে কলা এবং আমের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। বলা ভালো, কেবলমাত্র আমের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য গোটা একটা বছর অপেক্ষা করে বসে থাকেন আমজনতা। কাঁচা এবং পাকা দু’রকম আমেরই কিন্তু ব্যাপক কদর রয়েছে বাজারে। বর্তমানে বাজারে গেলেই দেখা যাচ্ছে ঝুড়ি ভর্তি হলুদ হলুদ পাকা আম। রসালো সেই আম কিনে বাড়ি ফিরছেন আমজনতা। অনেকেই জানেন আম কে বলা হয় ফলের রাজা। তবে ফলের রানী কে সেটা জানা আছে কী? আজকের এই প্রতিবেদনে রইল সেই উত্তর।
নানান রকমের ফল বিক্রি হয় বাজারে। এমন বেশ কিছু ফল রয়েছে যেগুলি সারা বছর পাওয়া যায়। আবার বেশ কিছু ফল পাওয়া যায় বিশেষ কিছু ঋতুতে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে আম, কাঁঠাল, লিচু। কেবলমাত্র গ্রীষ্মকালে কিন্তু এই ফলগুলির দেখা পাওয়া যায়। যদিও আজকের আলোচ্য বিষয় কিন্তু মোটেই সেটা নয়। বরং আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে ফলের রানী কে সেই বিষয়টা নিয়ে।
ফল খেতে যারা অত্যাধিক ভালবাসেন তাদের কাছেও কিন্তু নেই এই উত্তর। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ফলের রাজার সঙ্গে নামের মিল রয়েছে ফলের রানীর। এই ফলও আমের মতোই রসালো। হ্যাঁ, ফলের রানী বলা হয় ম্যাঙ্গোস্টিন নামক গাব জাতীয় ফলকে। এই ফলের স্বাদ কিছুটা টক মিষ্টি। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই ফল পাওয়া যায়। তবে দেশের বিভিন্ন গ্রীষ্মমন্ডলী অঞ্চলেও কিন্তু দেখা পাওয়া যায় এই ফলের।
রংয়ের দিক থেকে নেই আমের সঙ্গে কোনো মিল। আমের রং উজ্জ্বল হলুদ হলেও ম্যাঙ্গোস্টিনের বাইরের দিকের রং বেগুনি এবং ভেতরে সম্পূর্ণ সাদা। বেগুনি খোসার কারণে এটিকে কিছু জায়গায় বেগুনি ম্যাঙ্গোস্টিন বলা হয়ে থাকে। এই ফল খেতে অত্যাধিক সুস্বাদু। এমনকি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও দারুণ উপকারি। এটি কম ক্যালরিযুক্ত ফল হওয়ার কারণে এতে নানান রকম প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে।
প্রোটিন, ভিটামিন সি, বি ১, বি ২, বি ৯, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে এই ফলে। এই ফলটিতে ৩.৫ গ্রাম ফাইবার এবং মাত্র ১ গ্রাম রয়েছে ফ্যাট। ডায়াবেটিস রোগীদের আম থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলেও এই ফলের রানীর মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে অনায়াসেই ভরসা রাখতে পারেন এই ফলে।