Health Tips: ‘দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে’। ছোটবেলা থেকেই মা ঠাকুমাদের কাছে এ কথা শুনে এসেছি আমরা। আসলে পুষ্টিগুণে ভরপুর দুধ। এই পানিও আমাদের স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে ব্যাপক সহায়তা করে। তবে দুধ খাওয়ার রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। যা হয়তো অনেকেরই অজানা। আজকের এই প্রতিবেদনে দুধ সম্পর্কিত নানান তথ্য করা হলো আলোচনা। এই নিয়ম মেনে যদি প্রত্যেকদিন দুধ খাওয়া যায় তাহলেই হাল ফিরবে স্বাস্থ্যের। বাড়বে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।
পুষ্টিকর পানীয় দুধ। কমবেশি প্রায় সকলেই দুধ খান নানান উপায়। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস দুধ না হলে যেন সকালটাই শুরু হয় না অনেকের। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন যারা রাত্রেবেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুমুক দেন এক গ্লাস দুধে। শরীরের হাল সঠিক রাখতে কেশর কিংবা হলুদ মিশ্রিত দুধ খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। যদিও আদৌ কী এটা শরীরের জন্য উপকারী? কখন খাওয়া উচিত দুধ? কী বলছেন চিকিৎসকেরা? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর রইল বিশেষ এই প্রতিবেদনে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, সকালে খালি পেটে দুধ পান করা মোটেই উচিত নয়। এই অভ্যেস যদি থেকে থাকে তাহলে অবিলম্বে তা ত্যাগ করতে হবে। সকালে খালি পেটে দুধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যাবে বহুগুণ। খালি পেটে দুধ পান করলে পেটে জমবে অ্যাসিড। যার ফলে ক্র্যাম্প এবং বমির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গরম দুধের তুলনায় কাঁচা দুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে বেশি উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধ গরম করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে কাঁচা দুধ খেলে আবার ব্যাকটেরিয়া জমবে অন্ত্রে। তাই বারে বারে নয় বরং একবার মাত্র দুধ ফুটিয়ে তারপর সেই দুধ পান করুন। এতেই মিলবে উপকার। ভুল করেও কখনোই তরমুজ, সাইট্রাস ফল এবং কলা জাতীয় ফলের সঙ্গে দুধ পান করা উচিত নয়। এমনকি নোনতা জিনিস যেমন সামোসা, পরোটা, খিচুড়ি দিয়ে দুধ কখনোই পান করা উচিত নয়।
দুধে অনেকেই নুন মিশিয়ে খেতে ভালোবাসেন। তবে এটা মোটেও উচিত নয়। কারণ এই কাজ করলে সোডিয়াম এবং ল্যাকটোজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এমনকি বাড়বে হৃদরোগের ঝুঁকি।
চিকিৎসকদের কথায়, প্রত্যেকদিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়া যেতেই পারে। এই অভ্যেস থাকলে মাংসপেশির বিকাশ ঘটবে। শরীরে বাড়বে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। তবে যাদের জন্ডিস, ডায়রিয়া এবং আমাসার মতো সমস্যা রয়েছে তাদের কিন্তু ভুলেও পান করা চলবে না দুধ।