Sangbad Safar : বর্তমান বাজারে চাকরির যে রূপ মন্দা তাতে প্রচুর মানুষ চাকরির আশা ছেড়ে ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও প্রচুর মানুষ এমন রয়েছেন যারা ব্যবসা করবেন বলে ভাবছেন। শুধু তাই নয়, অনেকে আবার চাকরির পাশাপাশি ব্যবসাও করতে চাইছেন। আপনি যদি কোনো ব্যবসা করার কথা ভাবেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদন আপনার জন্য একেবারে উপযুক্ত। আজ প্রতিবেদনে আমরা এমন ২টি ব্যবসার কথা জানাবো যা আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন এবং অল্প সময়ে লাভবান হতে পারবেন। আসুন তাহলে জেনে নিন ব্যবসা ২টি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য।
আজ এই প্রতিবেদনা আমরা আপনাদের এমন ২টি ব্যবসার কথা জানাবো যা থেকে আপনি ভালো পরিমাণ উপার্জন করার পাশাপাশি এই ব্যবসার জন্য সরকার থেকেও সাহায্য পাবেন। আপনি চাইলে ব্যবসা ২টি একসাথেও করতে পারবেন। কিন্তু ব্যবসা গুলো কি সেটাই নিশ্চয়ই ভাবছে? এক্ষেত্রে বলে রাখি, ব্যবসা ২টি হল মাছের ও তার সঙ্গে হাঁস পালনের ব্যবসা। আসুন জেনে নিন কিভাবে করবেন এই ব্যবসা ২টি।
আরোও পড়ুনঃ ১ কোটি ৬৬ লক্ষ রেশন কার্ড ‘ব্লক’ করে দিল সরকার! আপনার কার্ড চালু আছে তো? এখানে চেক করুন স্ট্যাটাস
কিভাবে একসাথে মাছ ও হাঁস পালনের ব্যবসা করবেন?
মাছ ও হাঁস পালনের ব্যবসা দুটি একসাথে করা খুবই লাভজনক। আপনি যে পুকুরে মাছ চাষ করবেন সেই পুকুরের জল পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে হাঁস। এছাড়া পুকুরের জলে সাঁতার কাটার ফলে জলে অক্সিজেনের মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে। এতে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি হবে এবং লাভও হবে প্রচুর।
কিভাবে শুরু করবেন এই ব্যবসা ২টি?
মাছ চাষ করার জন্য প্রথমে একটি পুকুর থাকা আবশ্যক এবং পুকুরের গভীরতা যাতে ১.৫ মিটার থেকে ২ মিটার পর্যন্ত হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে গভীরতা এর থেকে বেশি হলেও চলবে। এছাড়া প্রতি হেক্টর পুকুরে প্রয়োজন মতো ২৫০ থেকে ৩৫০ কেজি চুন ব্যাবহার করতে হবে। তারপরেই আপনি ওই পুকুরে মাছ চাষ করতে পারবেন। এর সঙ্গে হাঁস পালন করতে হলে পুকুরের সামনে এবং পুকুরের চারপাশে বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে বেরা তৈরি করে নিতে হবে, যার মধ্যে আপনি হাঁস পালন করতে পারবেন। খেয়াল রাখবেন বেরাটি যেন ভালো উচ্চতা সম্পন্ন হয়। তানাহলে হাঁস উড়ে বাইরে বেরিয়ে যাবে। প্রতি হেক্টর পুকুরে ২৫০টি থেকে ৩০০টি হাঁস খুব সহজেই পালন করা যেতে পারে।
এই ব্যাবসার সুবিধা :-
আপনি যদি মাছের সঙ্গে হাস পালনের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনি প্রচুর সুবিধা পাবেন। ধরুন যেমন শুধু হাঁস পালন করতে প্রতিদিন হাঁসকে ১২০ গ্রাম দানা খেতে দিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি মাছের সাথে হাঁস পালন করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ৬০ থেকে ৭০ গ্রাম দানা দিলেই চলবে। কারন বাকি খাবার তারা পুকুর থেকেই পেয়ে যাবে। পুকুরের পোকামাকড়, গাছপালা, ব্যাঙ ইত্যাদি হাঁস খেয়ে নেবে যেগুলো মাছের পক্ষে ক্ষতিকর। ২০০ থেকে ৩০০ হাঁসের বিষ্ঠা এক হেক্টর পুকুরের মাছের জন্য যথেষ্ট। এছাড়া পুকুরে হাত সাঁতার কাটলে, পুকুরের জলে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যা মাছের বৃদ্ধি ঘটাতেও সাহায্য করে।
আরোও পড়ুনঃ ট্রেনের টিকিট হারিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি করুন এই কাজ, নাহলে দিতে হবে মোটা টাকা জরিমানা
আপনি যদি হাঁস এবং মাছ একসাথে চাষ করেন সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিবছর ৩৫০০ থেকে ৪০০০ কেজি মাছ, ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি হাঁসের মাংস এবং ১৫,০০০ থেকে ১৮,০০০ ডিম বিক্রি করতে পারবেন। এত পরিমান সংখ্যা থেকে আপনি নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন যে এই দুটি ব্যবসা একসাথে করলে আপনি ঠিক কত টাকা লাভ করতে পারবেন।
সরকার থেকে কিভাবে পাবেন সাহায্য?
এই ব্যবসা ২টি শুরু করার জন্য প্রাথমিক কিছু মূলধন অত্যন্ত জরুরী। বর্তমানে যেকোনো ব্যবসার জন্য নানাভাবে আর্থিক সাহায্য করছে সরকার। তাই আপনার কাছে যদি ব্যবসা করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বুঝি না থাকে তাহলে আপনি সে ক্ষেত্রে সরকারের দ্বারস্থ হতে পারেন। ব্যবসার জন্য সরকার কম সুদে লোন দিচ্ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা আবেদন করে কিন্তু সরকারের কাছ থেকেও একটি লোন নিতে পারেন ব্যবসার জন্য।