কথাতেই আছে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। আর এই ১৩ পার্বণের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্বণ হল জামাইষষ্ঠী। বিশেষ এই দিনে জামাইদের মঙ্গলের জন্য ব্রত পালন করেন মেয়ের মায়েরা। আমরা হয়তো অনেকেই জানি যে জামাইষষ্ঠীর দিন দেবী ষষ্ঠীর আরাধনা করা হয়। পাশাপাশি জামাইকে আদর আপ্যায়ন করা হয়ে থাকে বিশেষ এই দিনে। সেই প্রাচীনকাল থেকেই বেশ কিছু রীতিনীতি মেনে জামাইষষ্ঠী পালন করার রেওয়াজ রয়েছে বাঙালি সমাজে। তবে কখনো ভেবে দেখেছেন কী জামাইষষ্ঠীর আরেক নাম কী? আজকের প্রতিবেদনে রইল সেই উত্তর।
চলতি বছর ১২ জুন অর্থাৎ বুধবার বাঙালিদের বাড়িতে বাড়িতে পালিত হবে জামাইষষ্ঠী। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলতি বছর জামাইষষ্ঠী পড়েছে ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪১৩। শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিকে জামাইষষ্ঠী হিসেবে পালন করেন বাঙালি মায়েরা। বিশেষ এই দিনের কথা ভাবলেই প্রথমেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে চিরাচরিত এক ছবি। পাঞ্জাবি পরে খেতে বসেছেন জামাই। সামনে নানান রকম খাবারের সমাহার। ভাত, ডাল, তরকারি, ইলিশ মাছ, খাসির মাংস, নানান রকমের মিষ্টি, দই, পাপড় কি নেই সেই তালিকায়। জামাইয়ে ঠিক পাশে বসেই হাতপাখা দিয়ে জামাই বাবাজিকে হাওয়া করে দিচ্ছেন শাশুড়ি মা।
বর্তমানে অবশ্য এই চিত্রে কিছুটা বদল এসেছে। এখনকার জামাই বাবাজিরা হাত পাখায় হাওয়া খান না বরং এসির হাওয়া খেতেই অভ্যস্ত। জামাইয়ের মাথায় ধান দূর্বা ঘাস দিয়ে আশীর্বাদ করেন শাশুড়ি মা। এরপর শুরু হয় ভোজনের আয়োজন। সাধারণত মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয় বাঙালি বাড়িতে। তবে অনেকেই যেটা জানেন না সেটা হল জামাইষষ্ঠীর অপর নাম কী। জ্যৈষ্ঠ মাসে এই বিশেষ পার্বণ পালিত হয় বলেই অনেকের কাছে এটি পরিচিত জামাইষষ্ঠী নামে।
বিশেষ এই দিনে মেয়ের মায়েরা তাঁদের মেয়ের সুখী ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভক্তি ভরে পুজো করেন মা ষষ্ঠীর। এরপর পেট পুড়ে খাবার খাওয়ান আদুরে জামাই বাবাজি। এতো গেল নিয়ম কানুনের কথা। তবে অনেকই যেটা জানেন না সেটা হলো বিশেষ এই দিনের পুরনো নাম কী। আজও ঠাকুমা দিদিমারা পুরনো নামেই পালন করেন এই বিশেষ দিনটি। জানিয়ে রাখি, জামাইষষ্ঠীর অন্য নাম অরণ্যষষ্ঠী।