Sangbad Safar : অযোধ্যা রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়ে গেলেও মন্দিরের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime minister Narendra Modi) নিজে রামলালাযর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু আসল সময়ই কাজ করল না রাম মন্দির ! কিন্তু যেখানে ‘আব কি বার ৪০০ পার’ এর টার্গেট ছিল, সেখানে বিকেল ৪ টের ট্রেন্ডে দেখাল, ৩০০-র আশেপাশেই রয়েছে বিজেপি (BJP)। ঠিক কি কারণে বাংলায় কাজ করলো না মোদী ম্যাজিক? ঠিক কি কারনে এক্সিট পোলের হিসেব শেষ মুহূর্তে শেষ মুহূর্তে বদলে গেল? কোন মাস্টারস্ট্রোক কাজে লাগিয়ে তৃণমূল (TMC) বিপুল ভোটে জয়ী হলো বাংলায়? এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাতেই আজকের আমাদের এই প্রতিবেদন। সবকিছু জানতে শেষ অবধি চোখ রাখুন আমাদের এই প্রতিবেদনে।
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও বাংলার রং একই থাকলো। গেরুয়া নয়, বরং গোটা বাংলা জুড়ে আবারো সবুজ ঝড়। এর কারণ হিসেবে অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা ডবল করে দেওয়াই বাংলা তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করেছে। এবছর লোকসভা ভোটে ঠিক মুখেই ৮ই ফেব্রুয়ারি রাজ্যের নতুন বাজেট করে লক্ষী ভান্ডারের অনুদান জেনারেল কাস্টদের ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয় এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা থেকে করা হয় ১২০০ টাকা। এরই প্রভাব এক্সিট পোলে সরাসরি পড়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
আরোও পড়ুনঃ এইসব পরিবারের লোকেরা আর পাবে না ফ্রি রেশন!
তৃণমূলের কোন মাস্টারস্ট্রোকে বাংলায় কুপোকাত বিজেপি?
তৃণমূলের (TMC) প্রচারে থাকা সকল নেতা-নেত্রীরা বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলে বেরিয়েছে সারা বাংলায়। কিন্তু ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে, এমনটা বলা হয়েছে বাংলার মানুষকে। অভিষেকের দিল্লি চলো থেকে শুরু করে, ধর্মতলায় মমতার ধর্না এই সবকিছুর প্রভাব পড়েছে লোকসভা ভোটে। ১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্য সরকার দিয়ে দেবে এমনটা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কথাও রেখেছে তৃণমূল। ফেব্রুয়ারি মাসে ২১ লক্ষ অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পরিশোধ করেছে রাজ্য।
শুধু তাই নয়, এরকম বহু ইস্যুকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র সরকারকে ক্রমশ বেঁধে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কেন্দ্রও চুপ করে থাকেনি এই ব্যাপারে। বারবার বাংলায় এসে মোদি-শাহ বিভিন্ন পাল্টা যুক্তিতে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু কেন্দ্রের কোন স্ট্রোক যে কাজে লাগেনি তা স্পষ্ট বোঝা গেল লোকসভা নির্বাচনের পর। লক্ষী ভান্ডারের টাকা ডবল করার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের বঞ্চনার অভিযোগ বাংলায় মোদি সরকার গঠন না হওয়ার চূড়ান্ত কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিদরা।
আরোও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর নতুন প্রকল্পে সুরক্ষিত থাকবে ভবিষ্যৎ, অবসরকালে ঘরে বসে পাবেন পেনশনের টাকা
লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে থেকে বাংলার গতিবিধি বুঝে একের পর এক মাস্টারস্ট্রোক কাজে লাগিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা নেত্রীরাও বাংলায় মোদি সরকার গঠন না হওয়ার অন্যতম কারণ। কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন পোলে প্রার্থী বদলও লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের স্থায়িত্ব পাকা করেছে।