Special Tea For Heart Patients : হার্ট অ্যাটাকে ঘটনা এখন যেন প্রতি ঘরে ঘরে। মাঝেমধ্যেই শোনা যায় একজন পুরোপুরি সুস্থ মানুষের হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে নাকি সেভাবে শরীর খারাপ হওয়ার কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়নি তার মধ্যে। আসলে অধিকাংশ মানুষই এখন বুঝতে পারে না যে তাদের হৃদপিণ্ড দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে হার্টকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এক বিশেষ ধরনের চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আজ এই সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য দিতেই আমাদের এই প্রতিবেদন। আসুন জেনে নিন সেই বিশেষ চা সম্বন্ধে কি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আরোও পড়ুন >> এই তারিখে জন্ম হলেই লক্ষী লাভ, কোটিপতি হবে আপনার সন্তান
ঝাঁসির সেন্ট্রাল আয়ুর্বেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এমন একটি চা আবিষ্কার করেছেন যা হৃদরোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। এই চা হৃদরোগ সম্পূর্ণ রূপে নিরাময় করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন আয়ুর্বেদ মূলক গবেষণা চালিয়ে এই কার্ডিয়াক কেয়ার চা তৈরি করা হয়েছে। MIIMS ও এই চা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
• কার্ডিয়াক কেয়ার চা তৈরিতে কি কি উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে?
হৃদ রোগীদের জন্য এই বিশেষ কার্ডিয়াক কেয়ার চা তৈরি করতে অর্জুনের ছাল, দারুচিনি, জাফরান, এলাচ এবং চা পাতার মতো আরো বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যপোযোগী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
এই চা দেশের বিভিন্ন শহরের মানুষের উপর পরীক্ষা করা হয়। তথ্য অনুযায়ী সব জায়গা থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় আয়ুর্বেদ গবেষণা পরিষদ এই চায়ের পেটেন্টের দাবি করেছে। চিকিৎসকদের মতে, হৃদ রোগীদের জন্য শীতকাল বেশ বিপদজনক। লেহ – তে বসবাসকারি কিছু স্থানীয় নাগরিকদের উপরেও এই চা পরীক্ষা করা হয়। সেখান থেকেও আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। খুব শীঘ্রই বাজারে এই চাপ পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরোও পড়ুন >> এই ৩৫টি ফোনে আর ব্যবহার করা যাবে না হোয়াটসঅ্যাপ! এবার কি করবেন ইউজাররা?
সেন্ট্রাল আয়ুর্বেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ডা. সি ভেঙ্কট নরসিমাজি একটি বিশেষ আলোচনায় জানান যে, হৃদরোগীদের সুস্থ রাখতেই এই চা তৈরি করা হয়েছে। দিনে তিন-চারবার এই চা অনায়াসেই পান করা যাবে। তবে তিনি আরো পরামর্শ দিয়েছেন যে, শুধু চা পান করলেই হবে না, এর সাথে নিয়মিত সুস্থ জীবন যাপন প্রয়োজন। এরজন্য নিয়মিত শরীরের যত্ন রাখা, ধূমপান এবং অন্যান্য খারাপ অভ্যেস ত্যাগ করা, সঠিক সময় খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা ইত্যাদি মেনে চলতে হবে। এছাড়া মিষ্টি খাওয়া কম করতে হবে। প্রয়োজনে ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া হৃদরোগীদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন মাছ রাখা অত্যন্ত জরুরী।