জীবনকে সহজ এবং সফল করার জন্য অনেক পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন আচার্য চাণক্য। তাঁর বলা প্রত্যেকটি কথা আজও আমাদের জীবনে প্রাসঙ্গিক। আচার্য্য চাণক্য বলেছেন এমন বেশ কিছু চাহিদা রয়েছে যেগুলি পুরুষদের তুলনায় নারীদের সর্বদাই বেশি থাকে। তবুও মুখ ফুটে কাউকে সে কথা বলতে পারেন না তাঁরা। যার ফলে গোপন ইচ্ছে থেকে যায় গোপনে।
তাঁর লেখা নীতি শাস্ত্রে নানা অমূল্য পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন আচার্য চাণক্য। প্রাচীন ভারতের এই মহাপণ্ডিত ছিলেন একাধারে সর্বশাস্ত্রজ্ঞ, কূটনীতিজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। তিনি যে কোনও বিষয়ের গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করতে জানতেন। জীবনকে বাস্তবতার নিরিখে পরিমাপ করতেন তিনি। সেই কারণে এত হাজার বছর পরেও তাঁর উপদেশ আজও সমান ভাবে কার্যকরী ও উপযোগী।
প্রাচীন ভারতে মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন চাণক্য। কৌটিল্য বা বিষ্ণুগুপ্ত নামেও তিনি পরিচিত ছিলেন। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করার জন্য চাণক্যের বিশেষ ভূমিকা ছিল। অভিজ্ঞ দার্শনিক, কূটনীতিবিদ ও অর্থশাস্ত্রজ্ঞ চাণক্য ছিলেন ঘোর বাস্তববাদী। সেই কারণে তাঁর দেওয়া উপদেশগুলি আজও আমাদের জীবনে একই রকম প্রাসঙ্গিক।
আচার্য্য চাণক্যের সম্পর্কে তো জানা হলো, এবার জেনে নেওয়া যাক নারীদের কোন চাহিদা পুরুষদের তুলনায় বেশি।
কামনা- পুরুষদের তুলনায় প্রায় ৮ গুণ বেশি কামনা থাকে নারীদের। কিন্তু তাঁরা সেটা কোনদিনই মুখ ফুটে বলেন না কাউকে। কারণ একটাই আর সেটা হল নারীদের লজ্জা এবং সহনশীলতা পুরুষের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সে কারণেই এ কথা কারো সামনে প্রকাশ করতে পারেন না নারীরা।
খিদে- মহিলাদের ঘনঘন ক্ষিদে পায়। পুরুষদের থেকে প্রায় দ্বিগুণ ক্ষিদে পায় তাঁদের এমনটাই বলেছেন আচার্য্য চাণক্য। কিন্তু কখনোই সে কথা কাউকে বলতে পারেন না নারীরা। তবে বর্তমানে বহু নারীর ক্ষেত্রেই এমনটা হয় না।কারণ আজকাল সকলেই মনোযোগ দিয়েছেন ডায়েটে।
লজ্জা- একজন পুরুষের তুলনায় একজন নারীর লজ্জা প্রায় চার গুণ বেশি। এমনকি নারীদের সাহস পুরুষদের তুলনায় প্রায় ছয় গুণ বেশি। চাণক্যের মতে, শক্তির রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয় নারীদের। কারণ তারা সবকিছু সহ্য করতে জানেন আবার প্রয়োজনে প্রতিবাদও করতে জানেন।
ধর্ম এবং মূল্যবোধ- পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি ধর্ম এবং মূল্যবোধ রয়েছে মহিলাদের। তারা সমাজ, সংস্কৃতি মাথায় রেখে সংসার পরিচালনা করেন।