Saregamapa 2024: সবেমাত্র শুরু হয়েছে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো সারেগামাপা এর নতুন সিজন। এবারের সিজনে একাধিক প্রতিযোগী নজর কাড়ছে বিচারক মন্ডলীর। তবে তাদের থেকে একেবারেই আলাদা ঘাটালের কিশোরী অঙ্কিতা। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে অবাক শ্রেয়া ঘোষাল থেকে শুরু করে অন্তরা মিত্র। ছোট্ট খুদের কামাল রীতিমতো ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঠিক কী কাণ্ড ঘটালেন অঙ্কিতা? সেই তথ্য রইল এই প্রতিবেদনে।
শিস বাজিয়ে গান গেয়ে সারেগামাপা এর মঞ্চে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মেয়ে অবন্তী সিঁথি। তাঁর কপালে জুটে ছিল ‘শিসপ্রিয়া’ খেতাব। আর এবার সেই একই পথে হাঁটলেন ঘাটালের মেয়ে অঙ্কিতা। তার কারনামা দেখে রীতিমত মন্ত্রমুগ্ধ সারেগামাপা এর বিচারকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা রীতিমতো হয়ে গিয়েছে ভাইরাল। কমেন্ট বক্সে বইছে প্রশংসা ঝড়। বলা ভালো, খুদের ট্যালেন্টে মুগ্ধ সকলেই।
ঘাটালের কিশরী অঙ্কিতা শ্রেয়া ঘোষালের গাওয়া ‘চলো তুমকো লেকার চলে’ গানটি একেবারে নিজের মতো করে পরিবেশন করে। না, তার কন্ঠ শুনে বিচারকরা অবাক হননি। বরং শিস দিতে ওস্তাদ সে। কেবলমাত্র শিস দিয়েই এই গানটি গাইতে শোনা যায় তাকে। এরপর বিচারক অন্তরা মিত্রের অনুরোধে শিস দিয়ে সে গাইল শাহরুখ-কাজল অভিনীত ছবি দিলওয়ালের ‘গেরুয়া’ গান। যা শুনে রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছেন বিচারকেরা। মেনে নিয়েছেন অঙ্কিতার ম্যাজিক। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের পর দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট এসেছে ঘাটালের কন্যার হাতে। তবে কেবলমাত্র শ্রেয়া বা অন্তরা নন। অঙ্কিতার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে নিজের সিট ছেড়ে উঠে চলে আসেন শান্তনু মৈত্র। দুহাতে জড়িয়ে ধরে অঙ্কিতাকে বলেন, ‘আউটস্ট্যান্ডিং ট্যালেন্ট এই সিজনের’। অন্যদিকে জাভেদ আলীকে বলতে শোনা যায়, ‘আগুনের ফুলকি নয়, একেবারে বোম’।
উল্লেখ্য, সারেগামাপা এর গ্র্যান্ড ওপেনিং এ হাজির ছিলেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণা। কিশোর কুমার জুনিয়রকে এই মঞ্চে খুঁজে পেয়েছেন সকলের প্রিয় বুম্বা দা। কোলাঘাটের খুদে অনিকের কন্ঠস্বরে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলেই। ‘আমার মনের ময়ূর মহলে’ গানটি গেয়ে তাক লাগিয়েছে অনিক। কুড়িয়েছে সকলের প্রশংসা। সারেগামাপা এর এই সিজনে সঞ্চালকের দায়িত্বে রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়। বিচারকের আসনে রয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল, অন্তরা মিত্র, শান্তনু মৈত্র, জাভেদ আলি, ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, জোজো মুখোপাধ্যায়, কৌশিকী চক্রবর্তী এবং ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।