Unique Business Idea: উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরেও মনের মতো মিলছে না চাকরি। সে কারণেই অনেকে বেছে নিচ্ছেন ব্যবসা। আবার এমনও বহু মানুষ রয়েছেন যারা চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের আশায় ছোটখাটো কোনো ব্যবসার কথা চিন্তা করছেন। তবে ব্যবসা করবো বললেই তো আর হলো না। প্রয়োজন মোটা অঙ্কের টাকা। আর সেটা না থাকায় মনে ইচ্ছে থাকলেও পছন্দের ব্যবসা করতে পারছেন না অনেকেই। এই তালিকায় আপনি রয়েছেন নাকি? চিন্তা নেই, আজকের প্রতিবেদনে হদিস রইল দুর্দান্ত একটি ব্যবসার। বাড়িতে বসেই অনায়াসে করা যাবে এই ব্যবসা। দেখে নিন বিস্তারিত।
কম বেশি প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী। সকলেই হয়তো জানেন যে মধুমেয় বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা মিষ্টি খেতে পারেন না মোটেই। আর তাই এই একটা আক্ষেপ থেকে যায় তাঁদের মনে। তবে হাতের কাছে যদি পাওয়া যায় সুগার ফ্রি উপাদান তাহলে কিন্তু বিষয়টা মন্দ হবে না। আজকের প্রতিবেদনে তেমনই একটি জিনিসের হদিস রইল। এই ব্যবসা খুব সহজেই করা যাবে বাড়িতে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই কোটিপতি হওয়া সম্ভব।
তুলসী পাতার গুনাগুন সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানেন। তবে স্টিভিয়া বা মিষ্টি তুলসী পাতা সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো জানা নেই। জানলে অবাক হবেন, ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীরা এই তুলসী পাতা খেলে চিনির স্বাদ অনুভব করবেন। ‘ভেষজ সুরক্ষা’ প্রকল্পে উৎসাহিত হয়ে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এক নম্বর ব্লকের নাটাবাড়ি দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু মহিলারা শুরু করেছেন মিষ্টি তুলসী পাতার চাষ। আর তাতেই তারা দেখছেন লাভের মুখ।
বর্তমান বাজারে আকাশছোঁয়া চাহিদা রয়েছে মিষ্টি তুলসী পাতার। আর সে কারণেই গোটা উত্তরবঙ্গ এবং নিম্ন অসমে এই তুলসীর চারা এবং শুকনো পাতা বিক্রি করে মহিলারা মোটা অঙ্কের টাকা আয় করছেন প্রতি মাসে।
যে কেউ চাইলে বাড়িতেই মিষ্টি তুলসী পাতা চাষ করতে পারেন। জৈব সার ছাড়া আর কোনো কিছুই প্রয়োজন পড়বে না। একবার চাষ করলে দু বছর পর্যন্ত এর থেকে শুকনো পাতা বিক্রি করা যাবে সহজেই। প্রায় তিন হাজার টাকা কেজি দরে এই গাছের শুকনো পাতা বিক্রি হয় বাজারে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, অসম পর্যন্ত যাচ্ছে এই তুলসী গাছের শুকনো পাতা এবং চারা। এমনকি বিভিন্ন আয়ুর্বেদ ঔষধের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে এটি।