আম খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়া সত্যিই মুশকিল। কেবলমাত্র আমের স্বাদ চেটেপুটে গ্রহণ করার জন্যই গ্রীষ্মকাল আসার অপেক্ষায় বসে থাকেন বহু মানুষ। গ্রীষ্মের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আর লোভনীয় ফল হল এটি। কেবলমাত্র রসালো পাকা আম নয়, একইসঙ্গে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কাঁচা আমেরও। আমসত্ত্ব, আমের আচার, জেলি সহ নানা জিনিস তৈরি করা হয় কাঁচা আম দিয়ে।
স্বাদেও অতুলনীয় আম। আর সে কারণেই তো ফলের রাজা হিসেবে পেয়েছে পরিচিতি। একই সঙ্গে পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফল। আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন বি পাওয়া যায়। আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা সকাল, দুপুর, রাত সব সময় খাচ্ছেন আম। তবে আমের সঙ্গে কিন্তু ভুল করেও খাওয়া চলবে না বেশ কিছু খাবার। না হলেই ঘটবে পেটের গন্ডগোল। আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো সেই তথ্য। তাহলে আর দেরি কিসের? ঝটপট দেখে নেওয়া যাক আমের সঙ্গে ভুলেও কোন কোন খাবারগুলি খাওয়া চলবে না একেবারেই।
দই-
এমন অনেকেই রয়েছেন যারা চিঁড়ে, টক দই, আম, কলা একসঙ্গে মেখে খেতে ভীষণ ভালবাসেন। খেতেও কিন্তু দুর্দান্ত লাগে এই খাবার। যদিও পুষ্টিবিদরা বলছেন, আমার সঙ্গে দইয়ের একেবারেই নেই সখ্যতা। এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যাবে বহুগুণ। এমনকি আম খাওয়ার পর ভুল করেও খাওয়া যাবে না দই। এই কাজ করলেই বাড়বে পেটের সমস্যা।
তেল মসলাদার খাবার-
গরমের দুপুরে ভুরিভোজের পর একটু আম না খেলে যেন চলেই না ভোজন রসিক বাঙালিদের। যদিও তেল মশলাদার খাবারের সঙ্গে আম খেলে হিতে হতে পারে বিপরীত। মনে রাখবেন, আমে থাকা অ্যাসিড মসলার সঙ্গে বিক্রিয়া করে আপনার হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কোমল পানীয়-
আমের সঙ্গে ভুল করেও ঠান্ডা কোমল পানীয়র গ্লাসে চুমুক দেওয়া চলবে না। কারণ আম এবং এই ধরনের পানীয় দুটোতেই চিনির পরিমাণ অত্যাধিক বেশি থাকে। ফলে এই দুই জিনিস যদি একসঙ্গে খেয়ে নেওয়া হয় তাহলে হঠাৎ করেই শরীরে বাড়বে শর্করার পরিমাণ। আর এতেই কিন্তু নানান রকমের সমস্যা দেখা দেবে শরীরে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন তো? এই গ্রীষ্মে আম তো খাবেন তবে একটু সাবধানতা অবলম্বন করে। তাহলেই কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ।