অবসর গ্রহণের পর কীভাবে কাটবে দিন। এই চিন্তা কমবেশি সকলেরই ঘুম উড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থা এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা এই চিন্তায় বেশি ভোগেন। তবে এবার আর কেবলমাত্র চিন্তা করে মাথার চুল ছেঁড়ার প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র সরকারি প্রকল্পে টাকা রাখতে পারলেই কেল্লাফতে। ৬০ বছরের গণ্ডি পেরোলেই হাতে মিলবে মোটা অঙ্কের টাকা। কী সেই প্রকল্পের নাম? কারা করতে পারবেন বিনিয়োগ? কত টাকাই বা বিনিয়োগ করতে হবে? এই প্রতিবেদনে রইল খুঁটিনাটি সব তথ্য।
সরকারি এই প্রকল্পের নাম অটল পেনশন যোজনা। এই প্রকল্পে প্রত্যেকদিন মাত্র ৭ টাকা করে জমা করলেই মাসে পাওয়া যাবে ৫০০০ টাকা। কীভাবে? দেখে নেওয়া যাক।
এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করার জন্য নূন্যতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর। সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন ইচ্ছুক ব্যক্তিরা। তবে আয়কর প্রদানকারী কোনো ব্যক্তি এই প্রকল্পে টাকা রাখতে পারবেন না। আবার অনাবাসিক ভারতীয়দের জন্যও এই প্রকল্পের দরজা একেবারে বন্ধ।
কীভাবে পাওয়া যাবে ৫০০০ টাকা-
মাত্র ১৮ বছর বয়সেই যদি এই প্রকল্পে কেউ টাকা জমাতে শুরু করেন তাহলে বর্তমান সুদের হার অনুযায়ী ৬০ বছর বয়সে পেনশন বাবদ ওই ব্যক্তি পেয়ে যাবেন প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা। এর জন্য দৈনিক কেবলমাত্র ৭ টাকা করে করতে হবে বিনিয়োগ। অর্থাৎ প্রত্যেক মাসে ২১০ টাকা বিনিয়োগ করলেই বয়সকালে আর চিন্তা করতে হবে না।
১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যদি এই প্রকল্পে কেউ টাকা রাখা শুরু করেন তাহলে অবসরের পর মোটেই পাওয়া যাবে না ৫০০০ টাকা। আর যদি একান্তই এই টাকা পেতে হয় তাহলে বিনিয়োগের টাকার অঙ্কটা বাড়াতে হবে। নিজের ইচ্ছেমত বিনিয়োগকারীরা এই প্রকল্পে টাকা জমা করতে পারবেন। আর তার ওপরেই নির্ভর করবে পেনশনের পরিমাণ কম হবে নাকি বেশি।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে বিনিয়োগ করতে পারবেন এই প্রকল্পে। যদি মাসে ১০ হাজার টাকা করে পেতে হয় তাহলে কিছুটা টাকা বেশি পরিমাণে করতে হবে বিনিয়োগ। যেহেতু এটি সরকারি প্রকল্প তাই টাকা চোট হয়ে যাওয়া কোনো রকমের সম্ভাবনা থাকছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ অর্থ বর্ষে অটল পেনশন যোজনা চালু করা হয়। তারপর থেকেই হু হু করে এই প্রকল্পে টাকা রাখার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। প্রচুর মানুষ ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করে ফেলেছেন এই প্রকল্পে।