বাঙালির ঘুরতে যাওয়া মানেই দীঘা। ভ্রমন প্রিয় বাঙালিদের কাছে এই জায়গাটি ভীষণ পছন্দের। এখানে বেড়াতে যাওয়ার জন্য যাতায়াত, থাকার জায়গা, ছুটির ম্যানেজ সবই হয়ে যায় একেবারে সহজে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, বাঙালির ভরসা দীঘা। যে কোনো ঋতুতেই সমুদ্র নগরীতে ভিড় জমে আমজনতার। বিশেষ করে শনিবার এবং রবিবার পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসাঠাসি থাকে এই জায়গা। আসলে হাতে মাত্র দুদিন থাকলেই দিঘা ঘুরে নেওয়া যায়। সকালে ভ্রমণ আর বিকেলে সমুদ্রের ধারে বসে প্রকৃতির রূপ দর্শন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, নিজের বাজেটের মধ্যেই ঘুরে নেওয়া যায় দীঘা।
মাত্র ৯০ টাকা সঙ্গে থাকলেই অনায়াসে ঘুরে নেওয়া যাবে বাঙালির প্রিয় এই জায়গা। যাওয়া আসা সবই হয়ে যাবে। কীভাবে? সেটাই জানানো হলো আজকের এই প্রতিবেদনে।
কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা মাথায় আসলেই মধ্যবিত্তরা প্রথমেই চোখ বুলিয়ে নেন বাজেটে। যাওয়া আসার খরচ, হোটেল ভাড়া, খাওয়া খরচ সবটাই কিন্তু রাখতে হয় মাথায়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন পর্যটন স্থলের টিকিট। সবমিলিয়ে সঠিকভাবে পরিকল্পনা যদি না করে খরচ করা হয় তাহলে মোটেই কুলিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। কিন্তু যাদের রয়েছে একেবারে কম বাজেট তাদের জন্য আদর্শ জায়গা সমুদ্র শহর দীঘা।
একেবারে কম খরচের মধ্যেই শহর কলকাতা থেকে দীঘা যাওয়ার জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে লোকাল ট্রেন। হাওড়া থেকে দীঘা যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনো লোকাল ট্রেন নেই ঠিকই। তবে হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেনে চড়ে মেচেদা কিংবা পাঁশকুড়া পৌঁছে যাওয়া যাবে সহজে। এরপর সেখান থেকে উঠে পড়তে হবে দীঘার ট্রেনে।
হাওড়া থেকে মেচেদা যেতে হলে খরচ পড়বে মাত্র ১৫ টাকা। অন্যদিকে মেচেদা থেকে দীঘা যাওয়ার জন্য খরচ পড়বে ৩০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৪৫ টাকা খরচ করেই কলকাতা থেকে অনায়াসে পৌঁছে যাওয়া যাবে দীঘা। ঠিক একই রকম ভাবে লোকাল ট্রেনে চড়ে দীঘা থেকে পুনরায় মাত্র ৪৫ টাকা খরচ করেই ফিরে আসা যাবে শহর কলকাতা। এর জন্যও কিন্তু একই রুট বেছে নিতে হবে পর্যটকদের। প্রথমেই দীঘা থেকে লোকাল ট্রেনে চড়ে চলে আসতে হবে মেচেদা। এরপর সেখান থেকে পুনরায় লোকাল ট্রেনে চড়ে আসতে হবে হাওড়া। এই রুট অবলম্বন করে দীঘা গেলে পকেট থেকে খরচ হবে মাত্র ৯০ টাকা।