হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরেই আপামর বঙ্গবাসী মেতে উঠবেন জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে। চলতি মাসের ১২ তারিখ মহা আনন্দের মধ্যে দিয়ে পালিত হবে জামাইষষ্ঠী। বিশেষ এই দিনে আদর করে জামাইদের খাবার খাওয়ান শাশুড়ি মায়েরা। আর বিশেষ এই দিনে পাতে ইলিশ মাছ জায়গা পাবে না এমনটা তো হতেই পারে না। ইতিমধ্যেই বাজারে চলে এসেছে বাংলাদেশের ইলিশ। তবে বিপদ একটা জায়গাতেই, আর সেটা হল অনেকেই বাংলাদেশী ইলিশ চিনতে করেন ভুল। আর এতেই কিন্তু রসনাতৃপ্তি হয় না সঠিকভাবে। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিন কীভাবে চিনবেন সঠিক ইলিশ।
ইলিশের গন্ধেই এক থালা ভাত খেয়ে নেন ভোজন রসিক বাঙালিরা। তবে ইলিশটা কিন্তু হতে হবে সঠিক। বম্বে ইলিশ অর্থাৎ গুজরাট থেকে আমদানি হওয়া ইলিশ মাছ এবং বাংলাদেশের ইলিশ মাছ দেখতে অনেকটা একই রকমের। তবে পার্থক্য যে একেবারেই নেই সেটা বলা হয়তো ভুল হবে। কারণ এ দুই মাছের মধ্যে রয়েছে সামান্য কিছু ফারাক। তবে সেই ফারাক এতটাই নগণ্য যে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই।
এমনকি দুই ইলিশ মাছের চেহারায় ফারাক সূক্ষ্ম থাকার কারণে মাঝেমধ্যে সমস্যায় পড়ে যান ক্ষুদ্র মাছ বিক্রেতারাও। হাওড়া কলকাতার পাইকারি মাছ সরবরাহকারীরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের ইলিশ এ রাজ্যের বাজারে পৌঁছাতে ইতিমধ্যেই তার সঙ্গে চলে এসেছে গুজরাত থেকে আমদানি হওয়া বম্বে ইলিশ। আর এই দুই ইলিশের চেহারার মিল এতটাই যে পার্থক্য করা বেশ কঠিন কাজ। বাংলাদেশ থেকে মাঝেমধ্যে যে সকল ইলিশ আসে সেটা কিন্তু মোহনা বা পদ্মা নয় বরং চট্টগ্রামের মাছ। আর এই মাছের সঙ্গে চেহারার একেবারেই মিল রয়েছে বম্বের ইলিশের।
এবার দেখে নেওয়া যাক পার্থক্য-
বাংলাদেশ থেকে যে ইলিশ মাছ আসে সেই ইলিশের আঁশ তুলনামূলকভাবে ছোট। অন্যদিকে বম্বে গুজরাটের ইলিশের আঁশের সাইজ একটু বড়।
বাংলাদেশ চট্টগ্রামের ইলিশ একটু বেশি চকচকে এবং লালচে। অন্যদিকে বম্বে ইলিশের আঁশ সামান্য কালচে এবং ঘন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন তো? প্রিয় জামাইয়ের জন্য ইলিশ মাছ কেনার সময় যদি এই পার্থক্যগুলি খুব ভালো করে লক্ষ্য করতে পারেন তাহলে কিন্তু আর ঠকতে হবে না। তাহলেই কিন্তু জামাই এর পাতে তুলে দিতে পারবেন সুস্বাদু বাংলাদেশের ইলিশ।