Panchayat Series Vinod Story: বর্তমান সময়ে যে কয়েকটি ওয়েব সিরিজ জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছে তার মধ্যে ‘পঞ্চায়েত’ ওয়েব সিরিজ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে এক আলাদা উন্মাদনা কাজ করছে। ওয়েব সিরিজ প্রেমীদের মধ্যে এই পঞ্চায়েত(Panchayat) ওয়েব সিরিজের প্রত্যেকটি চরিত্রকে নিয়ে এক নতুন ভালো লাগা তৈরি হয়েছে। বলাই বাহুল্য, এই সিরিজের প্রত্যেকটি চরিত্র দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন।
তেমনি এই ওয়েব সিরিজের এক অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র বিনোদ। এখানে বিনোদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা অশোক পাঠক। তার অভিনয়ের গুণের প্রশংসার পাশাপাশি তার বেশ কিছু ডায়লগ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল। তবে এই অভিনেতার জীবন কাহিনী সম্পর্কে এখনো অনেকেই জানেন না।
আজকের এই প্রতিবেদনে এই অভিনেতার জীবন সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদেরকে শেয়ার করব। অভিনেতা যখন ক্লাস নাইনে পড়েন, তখন তিনি রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সাইকেলে করে তুলো বিক্রি করতেন। নিজের প্রচেষ্টায় নিজের জীবন বদলে ফেলেন অশোক। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন যে ‘যেসব শিশুর বাবা-মা তাদের ছেলেকে বলে এই শিশুটির সঙ্গে আড্ডা দিও না, ও তোমাকে নষ্ট করবে।.. বুঝবে সেই ছেলেটি একদিন আমার মত হবে।’
অভিনেতা আরো জানিয়েছেন যে তিনি রোদের মধ্যে মামার সঙ্গে সাইকেল করে তুলো বিক্রি করতেন। প্রত্যেকদিন প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ এই সাইকেলে করে অর্থ উপার্জন করতে যেতেন। তিনি আরো বলেন যে অভিনয় তার ভিতরে কোথাও একটা জন্ম নিয়েছে। তিনি দারিদ্রতা থেকেও কিছুটা অভিনয় শিখেছেন। একটু আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি বলেন যে ৬০ টাকা দামের তুলো তিনি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে চেয়েছেন। ১০ টাকা মাত্র বেশি। পড়াশোনা করার জন্য এই অতিরিক্ত অর্থ তিনি চাইতেন। কিন্তু ষাটের পরিবর্তে ৫০ টাকায় সেই দাম নেমে আসত, তবুও তিনি ৭০ টাকায় বিক্রি করার জন্য আটকে থাকতেন।
আরো পড়ুন: মাত্র ৭৯০ টাকা বিনিয়োগে লাখপতি হওয়ার সুযোগ, গরীবদের জন্য দুর্দান্ত স্কিম টাটা গ্রুপের
অভিনেতা আরো বলেন, ‘অনেক সময় কারো ভালো না লাগলে বাচ্চা ভেবে কিনে নিতো। স্নাতক তার জীবন বদলে দিয়েছে। অভিনেতার গান গাওয়ার শখ ছিল, তিনি সংগীতশিল্পী হতে চেয়েছিলেন। এর পাশাপাশি সিনেমার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। তিনি লড়াই করে টিকিট কাটতে যেতেন। বেশকিছু সিনেমার নামও বলেছেন অভিনেতা।
এরপর অশোক বলেন, ‘দুলহান হাম লে জায়েঙ্গে ছবিটি সাগর সিনেমা হলে দেখানো হয়েছিল। সেদিন অভিনেতার সব তুলো মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তিনি খুব খুশি হয়ে ১৫ টাকার টিকিট কেটেছিলেন, এরপর গুটকা খেয়ে সিগারেট খেয়ে গর্বের সঙ্গে ওই সিনেমা দেখেছিলেন।’
তিনি বলেন যে, প্রথম যখন তিনি মুম্বাই পৌঁছেছিলেন। তখন সনি টিভিতে তার প্রথম কাজ ছিল। এই কাজে তিনি আড়াই হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। এতেই তিনি খুব খুশি হন। অভিনেতার সিনেমা করার খুব ইচ্ছা ছিল এরপর তিনি মুম্বাইয়ের কোনায় কোনায় ঘুরে কাজের সন্ধান করতেন। এরপর এক মাসের মধ্যেই তিনি বোম্বেতে কোটিপতি হয়ে যান। দুই দিনের কাজের জন্য ৭০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান পঞ্চায়েত সিরিজের বিনোদ।