PM Jeevan Jyoti Bima Yojana: সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প লঞ্চ করেছে। সেই প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুবিধাও পেয়ে আসছে সাধারণ মানুষ। কেন্দ্র সরকার দ্বারা পরিচালিত তেমন একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হল ‘প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বীমা যোজনা’ (PM Jeevan Jyoti Bima)। ২০১৫ সালে কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পের সূচনা করেন। দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সে নাগরিক মাত্র ৪৩৬ টাকা প্রিমিয়ামে ২ লক্ষ টাকার জীবন বীমা কভারেজ পেয়ে থাকে এই প্রকল্পের অধীনে। দেশের সাধারণ দরিদ্র নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্প চালু করেন। আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের এই প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। কিভাবে এই বীমা পেতে পারবেন? কি কি সুবিধা রয়েছে এই বিমান আওতায়? এইসব তথ্য জানাবো আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে। তাই এই বীমা সম্বন্ধে সমস্ত তথ্য জানতে শেষ পর্যন্ত চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনে।
২০১৫ সালে কিন্তু সরকার একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে সেই সময় দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ শুধুমাত্র জীবন বীমা কভারেজের আওতায় ছিল। কারণ LIC সহ জীবন বিভাগ অন্যান্য সংস্থা থেকে কভারেজ নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের অনেক বেশি টাকা প্রিমিয়াম জমা দিতে হতো। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করার কারনে বেশি টাকা দিয়ে প্রিমিয়াম দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই অধিকাংশেরই। তাই সব দিক বিচার বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জীবন জ্যোতি বীমা যোজনার সূচনা করেন। এই বিমার মূল উদ্দেশ্য হল নিম্নবিত্ত গরীব পরিবার গুলোকে জীবন বিমার সুবিধা প্রদান করা।
আরোও পড়ুনঃ EPFO-র নতুন নিয়মেই হলো বাজিমাত, জরুরি অবস্থায় টাকার চিন্তা করতে হবে না চাকুরীজীবীদের!
কারা এই বীমার আওতায় আসতে পারবেন?
আপনি যদি এখনো পর্যন্ত কোনো জীবন বিমা পলিসি করিয়ে না থাকেন তবে আপনি প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা পাবার জন্য আবেদন করতে পারেন। জেনে নিন জীবন জ্যোতি বীমা যোজনার আওতায় আসতে গেলে কি কি করতে হবে।
• গ্রাহককে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
• গ্রাহকের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
• আবেদনকারীর অবশ্যই পোস্ট অফিস কিংবা ব্যাঙ্কে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে
• ব্যাঙ্ক একাউন্টের সাথে আধার কার্ডের লিঙ্ক করা থাকতে হবে।
কোনো গ্রাহকের যদি একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তবে তিনি শুধুমাত্র যেকোনো একটি অ্যাকাউন্ট দিয়েই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন। এছাড়া যৌথ অ্যাকাউন্টেও এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে।
বীমার সময়কাল :- প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনার মেয়াদ শুরু হয় প্রতি বছর ১লা জুন থেকে পরবর্তী বছরের ৩১শে মে পর্যন্ত। এই বীমা শুরুর সময় প্রত্যেক বছর পয়লা জুন বা তার কিছুদিন আগে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হয়।
বীমা কভারেজ :- প্রধানমন্ত্রী জীবন বীমা যোজনার আওতায় থাকা ব্যক্তি যদি বীমা চলাকালীন মারা যায় তবে সেক্ষেত্রে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা বীমা কভারেজ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে বিমায়ের নাম নথিভূক্ত করার ৩০ দিনের মধ্যে যদি ব্যক্তি মারা যায় সেক্ষেত্রে এই বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে না। এই সময়কে ‘লায়ান পিরিয়ড’ বলা হয়। এই সময় কোনরকম দাবি গ্রহণযোগ্য হবে না।
বীমার মেয়াদ :- সাধারণত ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সে লোকেরা এই বীমার আওতায় আসতে পারবে। কিন্তু অটো ডেবিট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫৫ বছর পর্যন্ত এই বীমা কভারেজ পাওয়া যেতে পারে।
প্রিমিয়াম এর পরিমাণ :- কোন ব্যক্তি যদি প্রধানমন্ত্রী জীবন যদি বীমা যোজনার আওতায় আসতে চান তবে সেই ব্যক্তিকে প্রতিবছর ৪৩৬ টাকা প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। এটি একটি টার্ম ইন্সুরেন্স প্ল্যান হওয়ার কারণে এই জমা টাকা আপনি ফেরত পাবেন না।
আরোও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের পর এই কোর্সটি করলেই চাকরি গ্যারান্টি! কেউ বলবে না বেকার, সফল হবে তুমি
ইন্সুরেন্স ক্লেম করার পদ্ধতি :-
প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা আওতায় থাকা কোন ব্যক্তি যদি দুর্ঘটনায় মারা যায় সেক্ষেত্রে এই বীমার যিনি নমিনি থাকবেন তাকে এই বীমার জন্য ক্লেম করতে হবে। বীমা প্রেম করার জন্য যে পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অধীনে এই বীমার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল সেখানে যেতে হবে নমিনিকে। বীমা ক্লেম করার জন্য নমিনীকে সাথে করে বীমা কারীর মৃত্যুর সার্টিফিকেট, অ্যাকাউন্টের ফটোকপি এবং বীমা ক্লেম করার সার্টিফিকেট পূরণ করে জমা দিতে হবে সেই ব্যাঙ্কে কিংবা পোস্ট অফিসে।