Travel Destination: বাঙালির ঘুরতে যাওয়া মানেই দীপুদা। অর্থাৎ দীঘা-পুরি-দার্জিলিং। এই তিন জায়গার বাইরে যেন বাঙালিরা কিছু ভাবতেই পারেন না। আসলে হাতে কেবলমাত্র দুদিনের ছুটি পাওয়া গেলেই খুব সহজেই ঘুরে আসা যায় জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত দীঘা থেকে। এমনকি এই সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া পকেট ফ্রেন্ডলি। আর সে কারণেই এই জায়গা ভীষণ পছন্দ ভ্রমণ প্রিয় বাঙালিদের। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন যাদের মনে গোয়া যাওয়ার শখ রয়েছে। তবে টাকা খরচের ভয়ে সেই শখ পূরণ হয় না। আর তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য তাঁরা ছুটে যাচ্ছেন দীঘা। তবে এবার আর নেই চিন্তা। আজকের প্রতিবেদনে হদিস রইল দুর্দান্ত এক সমুদ্র সৈকতের। এখানে গেলেই গোয়া যাওয়ার শখ হবে পূরণ।
কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে আর যেতে হবে না গোয়া। এ রাজ্যেই রয়েছে দুর্দান্ত এক সমুদ্র সৈকত। সঙ্গীর হাত ধরে সহজেই চলে যাওয়া যাবে সেখানে। একান্তে কাটিয়ে নেওয়া যাবে বেশ কিছুটা সময়। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ খুব সহজেই মন কেড়ে নেবে পর্যটকদের। সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ালেও সন্ধ্যার সময় সমুদ্রের পাশে বসলেই সমস্ত ক্লান্তি হয়ে যাবে দূর। দেখে নেওয়া যাক কোথায় রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্র।
বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় ডেস্টিনেশন দীঘার একেবারেই কাছেই রয়েছে এই জায়গা। বর্ষাকালে সমুদ্রের আকর্ষণীয় মোহময়ী রূপ যদি দেখতে হয় তাহলে যেতেই হবে এইখানে। এখানে গেলে দীঘায় ঘুরতে আসার আনন্দ হয়ে যাবে দ্বিগুণ। এই জায়গাটির নাম হল দীঘার ওসিয়ানা বিচ। প্রিয়জনের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার একেবারে আদর্শ জায়গা হল দীঘার এই ওশিয়ানা বিচ। কেবলমাত্র দুটি মন আর খোলা প্রকৃতি একে অপরের সঙ্গে পেয়ে যাবেন এখানে।
ওশিয়ানা বিচে রয়েছে সাজানো গোছানো পার্ক। সেখানেই রয়েছে বিভিন্ন বসার জায়গা। বাচ্চাদের খেলার জন্য রয়েছে একাধিক মজাদার স্পোর্টস। দীঘায় গিয়ে যারা ঝাউবন খুঁজে বেড়ান তাদের জন্য একেবারে উপযুক্ত এই জায়গা। এমনকি প্রিয় মানুষটার সঙ্গে একান্তে কিছুটা সময় কাটিয়ে নেওয়া যাবে দীঘার এই ওশিয়ানা বিচে। এটি অফবিট পর্যটনস্থল হওয়ার কারণে এখনো পর্যন্ত সেভাবে জানেন না বহু মানুষ। আর তাই ভিড়ভাট্টা নেই এইখানে। ফলে যারা একেবারে নিরিবিলি শান্ত প্রকৃতির মাঝে নিজেদের সময় কাটাতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত এই জায়গা। তাহলে আর দেরি কিসের? ব্যাগ পত্র গুছিয়ে এবার বেরিয়ে পড়ুন ওশিয়ানা বিচের উদ্দেশ্যে। শান্ত প্রকৃতির কোলে কাটিয়া আসুন দু দণ্ড সময়।