Travel Destination: বাঙালি বরাবরই বেড়াতে ভালোবাসেন। সপ্তাহে এক দুদিনের ছুটি পেলেও এদিক ওদিক ছুটে যান ভ্রমণ প্রিয় বাঙালিরা। হাতের কাছে রয়েছে দি-পু-দা। দীঘা, পুরী আর দার্জিলিং। কারও পছন্দ সমুদ্রের হাতছানি তো কারও আবার পাহাড়। কিন্তু এর বাইরেও একটা সুন্দর জগত রয়েছে। সেটা কিন্তু ভুলেই গিয়েছেন বেশিরভাগ বাঙালিরাই। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন এক জায়গার রইল হদিস। যেখানে একবার গেলে মন টানবে বারবার। ভুলে যাবেন দীঘা-পুরী।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতি বেশ পছন্দ শহরবাসীর। নিত্যদিনের রাস্তার জ্যাম, গাড়ির হর্নের শব্দ শুনে শুনে কান হয়ে গিয়েছে বন্ধ। আর তাই দু দণ্ড নিঃশ্বাস নিতে অনেকেই ছুটে যান গ্রামবাংলায়। আজকের প্রতিবেদনেও তেমনই এক জায়গার হদিস রইল। না এর জন্য আপনাকে দূরে কোথাও যেতে হবে না। এ গ্রাম রয়েছে আমাদের রাজ্যে। এর জন্য আপনাকে কষ্ট করে যেতে হবে পূর্ব মেদনীপুর। দুর্দান্ত এই গ্রামের নাম ‘পাউশি গ্রাম’।
কী দেখবেন- গ্রামের সহজ সরল জীবন যাপন আর প্রকৃতি। পদ্মা নদীর একেবারে তীরে রয়েছে ধানক্ষেত, পুকুর, সবুজ গাছালিতে ভরা ছোট্ট এই গ্রাম পাউশি। এখানে রয়েছে গ্রামীণ সংগ্রহশালা। সেখানেই আপনি দেখতে পাবেন হুঁকো, ঢেঁকি, লাঙল, চরকা, তাঁত, কুমোরের চাকি বা গরুর গাড়ির মতো নানান জিনিস। ইচ্ছে হলে খুব সহজেই ভ্যানে চড়ে কুমোর পাড়া থেকেও যাবে ঘুরে আসা।
কীভাবে যাবেন- বাস কিংবা গাড়িতে করে যদি এই গ্রামে পৌঁছাতে হয় তাহলে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়ে বম্বে রোড ধরে চলে যেতে হবে কোলাঘাট। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে একটু এগিয়ে গেলেই হলদিয়া মোড়। সেখান থেকে নন্দকুমার, মঠচণ্ডীপুর, হেড়িয়া হয়ে রসুলপুরে নদীর ওপর সেতু পেরোলেই কালিনগর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। এখান থেকে ভ্যান রিক্সায় চড়ে গ্রামের পথ পেরিয়ে পৌছে যাওয়া যাবে পাউশি গ্রামে। দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। তবে কেবলমাত্র কিন্তু বাস বা গাড়ি নয়। রয়েছে ট্রেনে যাওয়ার সুযোগও। এর জন্য তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, কাণ্ডারি এক্সপ্রেস বা দুরন্ত এক্সপ্রেসে রাখতে হবে ভরসা। পৌঁছে যেতে হবে স্টেশন থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার এর দূরত্ব কাঁথিতে।
কোথায় থাকবেন- শান্ত এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার জন্য রয়েছে মানচাষা রিসোর্ট। নদীর একেবারে তীরে বাঁশ, খর, হোগলা দিয়ে তৈরি এই কটেজ গুলো দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দর। এখানে সমস্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে। হাতে মাত্র দুদিনের ছুটি নিয়েই ঘুরে আসা যাবে দুর্দান্ত এই গ্রাম্য পরিবেশ থেকে।