Unknown Facts: পৃথিবীরও নাকি শেষ আছে! ভাবতেই কেমন যেন অবাক লাগে। ছোটবেলা থেকে কম বেশি আমরা সকলেই শুনে এসেছি পৃথিবী গোলাকার। কিন্তু গোলাকার পৃথিবীরও যে একটা শেষ থাকতে পারে সেটা হয়তো কখনোই ভাবেননি কেউ। তবে বিজ্ঞানীরা ভেবেছেন। আর সে কারণেই তো বছরের পর বছর ধরে নানান গবেষণা চালিয়েছেন তাঁরা। আর অবশেষে জানা গিয়েছে এই পৃথিবীর একেবারে শেষ শহরের নাম। কী আছে সেই শহরে? আদৌ কী সেখানে মানুষ বসবাস করেন? আজকের এই প্রতিবেদনে রইল খুঁটিনাটি সব তথ্য।
পৃথিবী গোলাকার, তাই প্রকৃত অর্থে হয়তো কোনো শেষ নেই পৃথিবীর। তাই পৃথিবীর শেষ সীমা শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে নানা গুণীর নানান মতেরও শেষ নেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্স বা রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের ইয়ামান পেনিনসুলা বা চিলির কেপহর্নকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত বলা যেতেই পারে। কিন্তু এই জায়গা গুলিকে অনেকেই আবার পৃথিবীর সীমানা বলে দাবি করলেও সব থেকে গ্রহণযোগ্য হলো আর্জেন্টিনার উশুইয়াই। দক্ষিণ আমেরিকার একেবারে দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত এই শহর। এদেশের ভাষাই ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্ত’।
আন্দিজ পাহাড়ের ফাঁকে গোঁজা এই অঞ্চলটির নাম ‘টিয়েরা দেল ফুয়েগো’ অথবা ‘আগুনের দেশ’। এই শহরটি উত্তরে ম্যাজেনাল প্রণালী এবং দক্ষিণে বিগল চ্যানেল দুই মহাসাগরকে যুক্ত করেছে। জায়গাটির নামকরণ করেছেন বিখ্যাত পর্তুগিজ আবিষ্কারক ম্যাজেলানই। এই শহরের চারিদিকে রয়েছে দুর্গম পাহাড় এবং উত্তাল সমুদ্র। আর সে কারণেই ১৮৭৩ সালে আর্জেন্টিনা সরকার সেখানে দেশের রাজনৈতিক বন্দীদের নির্বাসন দিতে শুরু করেন। তবে নানান বিতর্কের পর ১৯৪৭ সালে বন্ধ হয়ে যায় সেই প্রথা। পুরনো জেল এখন ঐতিহাসিক মিউজিয়াম।
এ দেশে বাস করেন কেবলমাত্র ইউরোপীয়রা। যদিও তারা এই শহরে ঘাঁটি তৈরি করার আগে এখানে থাকতেন ইয়া গালেস উপজাতিরা। এই শহরে প্রথম গড়ে ওঠা বিল্ডিং সালোশিয়ান চার্চ।
একেবারে ছোট্ট এই শহর উশুইয়াইতে বসবাস করেন প্রায় ৫৭ হাজার মানুষ। এই শহরের আয়তন ২৩ বর্গ কিলোমিটার। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা কখনো ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তো কখনো আবার ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। পৃথিবীর এই শেষ প্রান্তে পৌঁছতে একটা সময় প্রায় ২ বছর সময় লেগে যেত। তবে বর্তমানে খুব সহজেই মাত্র ২ দিনের মধ্যে আমেরিকা থেকে পৌঁছে যাওয়া যায় উশুইয়াই।