How To Become Crorepati: বেসরকারি সংস্থায় যারা কাজ করে থাকেন তাদের মাথায় অবসর জীবনের কথা সবসময়ই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে সঞ্চয়ের বিষয়টি প্রথম থেকেই মাথায় রাখা দরকার। যাতে বৃদ্ধ বয়সে অবসর জীবন সুখে শান্তিতে কাটানো যায়। সেক্ষেত্রে কারোর কাছে যাতে হাত পাততে না হয়।
তবে কত টাকা সঞ্চয় করতে পারলে ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষিত হবে সেই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। কিন্তু মনে করা হয় মোটা টাকার তহবিল গড়ে তুলতে পারলে অনেকটাই চিন্তা মুক্ত থাকা যায়। ঠিক যেমন যদি কোটি টাকার তহবিল গড়ে তোলা যায় তাহলে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন সকলেই।
আরো পড়ুন: লেডিস স্পেশাল ট্রেন অতীত! এবার লেডিস স্পেশাল বাস চালাবে রাজ্য সরকার। কোন কোন রুটে ছুটবে?
এবার কিভাবে এই কোটি টাকার দখল করে তোলা যাবে সেই সম্পর্কে আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের কে জানাবো। ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসে অর্থ সঞ্চয়ের পাশাপাশি সিস্টেমেটিক ইনভেসমেন্ট প্লান অর্থাৎ এসআইপি-তে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ড এসআইপিতে অর্থ বিনিয়োগকারী সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
এখানে অর্থ সঞ্চয় করলে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়। এখানে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের সুবিধা পাওয়া যায়। গড়ে বার্ষিক রিটার্ন ১২ শতাংশ দেওয়া হয় এই এসআইপি-তে। কোন কোন ক্ষেত্রে রিটার্নের পরিমাণ ১৫ শতাংশ হয়ে যায়।
আরো পড়ুন: Numbers Theory: ফোন নম্বরে এই সংখ্যাটি থাকলেই খুলে যাবে সৌভাগ্যের দরজা, এখনই চেক করুন
ধরুন, যদি কোন ব্যক্তি ২০০০ টাকার বিনিয়োগ করে ৩ কোটি টাকার বেশি তহবিল গড়ে তুলতে চান তাহলে কিভাবে সেটা সম্ভব? ধরুন ২৫ বছর বয়সে একজন ব্যক্তি ২০০০ টাকার একটি এসআইপি শুরু করলেন এরপর তাকে পুরো এক বছরের জন্য ওই অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা জমা করতে হবে। পরের বছর তিনি ২ হাজার টাকার সঙ্গে আরও ১০ শতাংশ অর্থাৎ ২০০ টাকা বাড়িয়ে ইনভেস্ট শুরু করলেন।
এর পরের বছর আরো ১০ শতাংশ, এরকম করে প্রত্যেক বছর যদি ১০ শতাংশ করে বিনিয়োগ বাড়িয়ে যান সে ক্ষেত্রে এই বিনিয়োগ চলবে ৬০ বছর ধরে। অর্থাৎ বার্ষিক ১০ শতাংশের টপআপ করে কেউ যদি ৩৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে তার মোট বিনিয়োগের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৬৫,০৪,৫৮৫ টাকা।
এরপর এখানে যদি ১২ শতাংশের গড় রিটার্ন ধরি তাহলে তিনি শুধুমাত্র সুদ থেকে পাবেন ২,৯০,২৯,২৯৪ টাকা। অর্থাৎ সুদ এবং আসল মিলিয়ে ৩৫ বছর পর মোট রিটার্ন পাবেন ৩,৫৫,৩৩,৮৭৯ টাকা। আর বিনিয়োগের পরিমাণ যদি আরো বেশি হয় তাহলে এই অর্থের পরিমাণ আরো বাড়বে। তবে পুরোটাই দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যান করতে হবে না হলে মোটা টাকা জমানো সম্ভব না।