Post Office RD Scheme: ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক মানুষেরই উচিত উপার্জনের কিছু অংশ সঞ্চয় করে রাখা। কিন্তু কোন উপায়ে টাকা সঞ্চয় করলে ভালো হবে, অর্থাৎ ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসের কোন স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করলে ভালো টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে, সেই ব্যাপারে সঠিক ধারণা নেই অধিকাংশ মানুষেরই। আজ এই ধারণা স্পষ্ট করতেই আমাদের এই প্রতিবেদন। আজ আপনাদের জানাবো পোস্ট অফিসের এমন একটি দুর্দান্ত স্কিম, যেখানে খুব অল্প সময়ে আপনার বিনিয়োগকৃত টাকা কয়েকগুণ পরিমাণে বেড়ে যাবে। এই স্কিমের সবথেকে বড় সুবিধা হল, এখানে আপনি আপনার সামর্থ্য মত সামান্য কিছু পরিমাণ টাকাও বিনিয়োগ করতে পারবেন।
আজ এই প্রতিবেদন আপনাদের যে স্কিমটি সম্বন্ধে জানাবো সেটি হল পোস্ট অফিসের একটি দুর্দান্ত স্কিম। এই স্কিমে সামান্য কিছু পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করলেই আপনি মেয়াদ পূর্তির সময় প্রচুর টাকা আয় করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। এছাড়া এই স্কিমটির মাধ্যমে আপনি প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রিটার্নও পেতে পারবেন। এই স্কিমটি হলো ‘রেকারিং ডিপোজিট’ প্রকল্প।
আরোও পড়ুনঃ আধার কার্ড দিয়েই তুলে নিন ১০ লক্ষ টাকার লোন, ৩৫% ছাড় দেবে কেন্দ্র সরকার! এইভাবে আবেদন করুন
অনেকেই মনে করেন রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্পে বিনিয়োগ করার জন্য হয়তো লাখ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু মানুষের এই ধারণা একেবারেই ভুল। প্রত্যেক সাধারণ মানুষের জন্য রেকারিং ডিপোজিটে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত সুবিধা এবং লাভজনক। এইখানে ডিপোজিট করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?, এই সবকিছু আজকে আমরা আলোচনা করব আমাদের এই প্রতিবেদনে। তাহলে দেরি কেনা করে পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্প সম্বন্ধে সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে শেষ অব্দি চোখ রাখুন আমাদের এই প্রতিবেদনে।
• পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট কি ?
সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য টাকা সঞ্চয়ের জন্য সবথেকে ভালো বিকল্প হল পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্প। ৫ বছরের জন্য আপনি এই রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। প্রতি অর্থবর্ষে এখানে আপনি আপনার মোট বিনিয়োগের উপর ৬.৭ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। এর আগে রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে সুদের পরিমাণ ছিল ৬.৫০ শতাংশ। সম্প্রতি এই প্রকল্পটিতে ২০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় এই সুদের হার বৃদ্ধি হয়েছিল।
• কিভাবে রেকর্ডিং ডিপোজিটে টাকা সঞ্চয় করবেন ?
রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলার পর এই প্রকল্পে আপনাকে প্রতি মাসে কিছু টাকা করে জমা দিতে হবে। পাঁচ বছর পর মেয়াদ পূর্তির সময় একটা মোটা অঙ্কের টাকা আপনি সুদ সমেত পাবেন। উদাহরণস্বরূপ বলে রাখি, আপনি যদি প্রতিমাসে রেকর্ডিং ডিপজিটে ৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনি ৫ বছর ধরে মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করবেন। এই টাকার উপর ৬.৭ শতাংশ করে যদি সুদ পাওয়া যায় তাহলে আপনি ৫ বছর পর মেয়াদ পূর্তি হলে সুদ সমেত মোট ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪৬৩ টাকা পাবেন। অর্থাৎ ৪৫ হাজার ৪৬৩ টাকা আপনি মোট টাকার উপরে সুদ পাবেন।
আরোও পড়ুনঃ এবার আপনার বাইক কেনার স্বপ্ন পূরণ করবে স্টেট ব্যাঙ্ক! এখনই যোগাযোগ করুন
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন যে, কেন্দ্র সরকার সমস্ত ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার পরিবর্তন করলেও, সরকারের পক্ষ থেকে কিন্তু সেখানে নানা রকমের সুবিধা পাওয়া যায়। আপনি যদি এই রেকর্ডিং ডিপোজিট প্রকল্পে বিনিয়োগ করে থাকে তবে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমান টাকা আয়ও করতে পারবেন। এই রেকর্ডিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত সুদের উপরে ১০% TDS কাটা হয়ে থাকে। তবে সুদের পরিমাণ ১০,০০০ টাকার বেশি হলেই টিডিএস কাটা হয়ে থাকে।