Pink Sand Sea Beach: বাঙালি সর্বদা ভ্রমন প্রেমী। কাজের মাঝে তিন চার দিনের ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়েন পাহাড় বা সমুদ্রের উদ্দেশ্যে। তবে সমুদ্রের পাড়ে হলুদ বালির চর ধরে হেঁটে যাওয়ার অনুভূতিটা একেবারেই আলাদা। সমুদ্রের ধারে এই হলুদ কালের সাথে পরিচিত অনেকেই। কিন্তু ধরুন এমন হলো যে আপনি সমুদ্রে বেড়াতে গেলেন কিন্তু সেখানে সমুদ্রের ধারে হলুদ বালির পরিবর্তে পেলেন মিষ্টি গোলাপি রঙের বালি। কি ভাবছেন? এমনটা সম্ভব কিনা? এই ঘটনা সম্ভব নাকি অসম্ভব তার আপনি জানতে পারবেন আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে।
আরোও পড়ুনঃ কিছুক্ষণের মধ্যেই ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি, এই ৫ জেলায় তুমুল দুর্যোগের আশঙ্কা
গোলাপি বালির সমুদ্রতটে নীল জলের অবিরাম ঢেউ, এ যেন বাস্তব নয়, কোনও রূপকথার গল্প। জানলে অবাক হবেন, ঠিক এমনই সমুদ্রতট রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীর বুকে। এই দৃশ্য আপনি পাবেন বাহামা দ্বীপরাষ্ট্রে। এই বাহামা দ্বীপরাষ্ট্রের চোখ জুড়িয়ে দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এখানেই রয়েছে গোলাপি বাড়ির সমুদ্রতট। বালি সাধারণত হলুদ রঙের হয় তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু এখানের বালি গোলাপী কেন? আসুন জেনে নিন।
আরোও পড়ুনঃ চোখের পলকে উড়ে গেল ট্রেনের বগি, ঠিক কিভাবে ঘটেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ‘ভয়াবহ’ দুর্ঘটনা?
বাহামা দ্বীপে এই গোলাপি বালির তট তৈরির পিছনে রয়েছে আণুবীক্ষণিক জীব ফোরামিনিফেরা। এই জীবের শরীর লালচে গোলাপি খোলসে মোড়া। বাহানা সমুদ্রের তটে থাকা বাড়িতে মিশে থাকে এই ফোরামিনিফেরা। এর সঙ্গে মিশে থাকে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ও প্রবাল। এই সবকিছু মিলে এই দ্বীপের বালির রং গোলাপিতে পরিণত হয়েছে। এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই স্থানে এসে ভিড় জমান। বাহামা থেকে মায়ামি দ্বীপ খুব একটা বেশি দূরে নয়। মায়ামা পৃথিবীর অন্য আর একটি বিখ্যাত সমুদ্রতট। কিন্তু বাহামার এই গোলাপি সমুদ্রতটের দৃশ্য ও অনুভূতি একেবারেই আলাদা।