Begun Kudar Station : পুরুলিয়া অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। চারপাশের অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য মন ভরিয়ে দেওয়ার মত। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছর এই স্টেশনের আশেপাশেও আসে না কেউ। কোন এক অজানা আতঙ্কে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে স্টেশন। এই স্টেশনের উপর দিয়ে কোন ট্রেন যাওয়ার সময় ট্রেনের সমস্ত জালনা দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি ট্রেনের লোকো পাইলট এই স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনের স্পিড কিছুটা বাড়িয়ে স্টেশনটিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পার করে যায়। কোন রহস্য ঘিরে রয়েছে স্টেশনটিকে? জানুন এই প্রতিবেদনে (Unknown Story of Begun Kudar Station)।
আরোও পড়ুন » ভয়ংকর বিপদ ঘনিয়ে আসতে চলেছে! পূর্ব দিকে টাল খেয়ে গেছে পৃথিবী, জানুন কি তথ্য দিল গবেষকরা
রেল মানচিত্রে এই পরিত্যাক্ত স্টেশনটির নাম ‘বেগুনকোদর’। কোন এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশনটির স্থানীয়দের কাছে ‘ভুতুড়ে স্টেশন’ নামে পরিচিত। এক সময় নাকি স্টেশনের ধারে বড় বড় বাজার, কোয়াটার্স, পাকা ইমারত সবকিছুই ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যা পাহাড়ের গায়ে এই স্টেশন হানাবাড়ির মত পড়ে রয়েছে।
• কিভাবে ‘বেগুনকোদর’ স্টেশন হয়ে উঠলো ‘ভুতুড়ে স্টেশন’?
শোনা যায় দীর্ঘ বহু বছর আগে স্টেশন মাস্টার ও তার স্ত্রী খুন হয় এই স্টেশনে। স্টেশনের কাছে এক কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের মৃতদেহ। এরপর থেকেই নাকি ওই স্টেশন কে ঘিরে শুরু হয় অশরীরী কার্যকলাপ। পরবর্তী সময়ে অন্য স্টেশন মাস্টার নাকি ওই স্টেশনে প্রতিদিন একজন মহিলাকে ট্রেনের সাথে সমান গতিতে ছুটতে দেখে। এই ঘটনা তিনি অন্যদের বললে কেউ তা বিশ্বাস করতে চাইনি। পরে সেই স্টেশন মাস্টারকেও খুন হয়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর আর কোন রেল কর্মীকে ওই স্টেশনে দেখা যায়নি। যারা ছিল তারা রাতারাত বদলি নিয়ে নেয়।
১৯৬৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এমনই চলতে থাকে। ২০১০ সাল থেকে আবার চালু হয় বেগুনকোদর স্টেশন। তবে শুধুমাত্র প্যাসেঞ্জার হল্ট হিসেবে। পুরো স্টেশন বিল্ডিং এ রং করে পুনরায় চালু করা হয়। দিনের বেলায় কিছু লোক দেখা গেল রাতে স্টেশনের ত্রী সীমানায় কাউকে দেখা যায় না। স্থানীয়দের মুখে শোনা যায়, রাত নামলে এই স্টেশনে অদ্ভুত কার্যকলাপ শুরু হয়। যত রাত বারে ততো ভেসে আসে অদ্ভুত সব গন্ধ। হঠাৎ করেই জ্বলে ওঠে আলো। এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই গভীর রাতে শোনা যায় অশরীরী কণ্ঠস্বর। এমনকি দিনের বেলাতেও নাকি অনেকে কানের সামনে অদ্ভুত গলা শুনে চমকে উঠেছে।
আরোও পড়ুন » ৪৮ ডিগ্রীতেও হার হিম করা ঠান্ডা! জানেন কি ভারতের সবথেকে শীতলতম শহর কোনটি?
সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এই স্টেশনে থামে রাঁচি-চন্দ্রপুরা-ধানবাদ প্যাসেঞ্জার। এরপর আর কোনো ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হয় না এই স্টেশনে। সন্ধ্যার পর কোনো প্রাণের দেখা মেলে না এই স্টেশন চত্বরে। এইভাবে একরাশ ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে এখনো পড়ে রয়েছে ভুতুড়ে এই বেগুনকোদর স্টেশন।