Uterus Cancer : মেয়েদের শারীরিক সমস্যা ছেলেদের তুলনায় বেশি হয়। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে মেয়েদের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে, যার দরুন মেয়েদের নানা রকমের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে প্রত্যেক মেয়ের মাসিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া নিয়মিত এবং সঠিক পদ্ধতিতে না হলে নানা রকম শারীরিক সমস্যায় পড়তে হয় মেয়েদের। অনেক সময় মেয়েদের ঋতুস্রাবের পরিমাণ, রং ইত্যাদি দেখে বোঝা যায় একটি মেয়ের শরীরে কোনোরকম রোগ বাসা বেধেছে কিনা।
আরোও পড়ুনঃ স্বল্প পুঁজিতে আপনাকে মালামাল করে দেবে এই ৫টি ব্যবসা, আজই শুরু করুন
যদি কোন মেয়ের অনিয়মিত ঋতুস্রাব কিংবা ঋতুস্রাবের সঙ্গে সাদা তরল জাতীয় পদার্থ ক্ষরণ হয় সেক্ষেত্রে বুঝে নিতে হবে ওই মেয়ের শরীরে কোন কঠিন রোগ বাসা বেধেছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই তার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আসলে এরকম লক্ষণ জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ। এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হসপিটালের গাইনো অংকলোজি বিভাগের ডঃ কঙ্কনা উমারিয়া কিছু তথ্য দিয়েছেন।
ডঃ কঙ্কনা উমারিয়ার কথায়, একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌণ মিলন করলেও সারভিক্যাল ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে জীবন ধারায় কিছুটা অনুশাসন নিয়ে আসা উচিত। তিনি বলেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থসামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের শরীরে এই রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যায়। কারণ, তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও খাদ্য অভ্যাস সঠিক ভাবে থাকে না।
ডঃ কঙ্কোনা বলেন, এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে প্রাথমিকভাবে খাদ্য অভ্যাস সঠিক রাখা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাহলে খুব সামান্য খরচে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু কোন ভাবে যদি মহিলাদের মাসিক সমস্যা দেখা দেয় কিংবা যদি মাসিকের সাথে সাদা তরল পদার্থ বের হতে দেখা যায় সে ক্ষেত্রে দেরি না করে অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।
আরোও পড়ুনঃ কলকাতার কাছের এই নদীর জলে নাকি পাওয়া যায় সোনার টুকরো! কোথায় রয়েছে এই নদী?
এই রোগটি সাধারণত হয় হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস-এর কারণে। একাধিক ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনের এই রোগ দেখা যায়। এই রোগ প্রতিরোধ করতে প্রথমে নিতে হবে এই রোদের প্রতিষেধক। এক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতাল থেকে কিংবা প্রাইভেটে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সে মেয়েদের এই ক্যান্সারের প্রতিষেধক নিতে হবে।