Joggoshree Prakalpa : দেশের মানুষের সুবিধার্থে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মাঝেমধ্যে একাধিক প্রকল্প চালু করে থাকে। এই প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন রকম সুবিধা পেয়ে থাকে দেশের মানুষ। প্রকল্পের কথা বলতে গেলে পশ্চিমবাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জির কিছু প্রকল্পের কথা বলতেই হয়। তিনি বাংলার মেয়ে বউদের জন্য একের পর এক প্রকল্পের সূচনা করে গেছেন। লক্ষী ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি সম্বন্ধে কারোরই অজানা নেই। সম্প্রতি বাংলায় আরো একটি প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করলেন মমতা ব্যানার্জি।
রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাংলায় এবার ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্প চালু হবে। মূলত বাংলার সংখ্যালঘু এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তৈরি হবে এই সরকারি প্রকল্প। এতদিন শুধু রাজ্যের তপশিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত পড়ুয়া রায় একাদশ শ্রেণী থেকে এই প্রকল্পের সুবিধা পেত। তবে এবার থেকে যাতে সাধারণ বা জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্র-ছাত্রীরা এই প্রকল্পের সুযোগ পায়, সেই ব্যবস্থাই করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
আরো পড়ুনঃ EPFO- এক বা দুই নয়, EPFO অ্যাকাউন্টধারীরা পেতে পারেন 7 রকমের পেনশন, এখনই জানুন
‘যোগ্যশ্রী প্রকল্প’ কি ?
গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী একটি ঘোষণার মাধ্যমে জানান, বিনামূল্যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার সরকারি প্রশিক্ষণ প্রকল্পই হলো যোগ্যশ্রী প্রকল্প। অনেক সময় আইটিআই এন্ট্রান্স জেইই (অ্যাডভান্সড), জেইই (মেন), রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স, এবং নিট; ইত্যাদির মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার জন্য পাঠ্যক্রমের বাইরে গিয়ে বাড়তি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের পক্ষে সেই প্রশিক্ষণ নেওয়ার সামর্থ্য থাকে না। রাজ্যে ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী একাদশ শ্রেণির থেকে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে তারই ব্যবস্থা করেন। এই ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হয়েছে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তার ঘোষণায় এই ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পের খ্যাতিয়ান তুলে ধরেছেন।
‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পের সাফল্যে সম্প্রতি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন ‘ বাংলায় যোগ্য প্রকল্পের সাফল্য ক্রোমশাই বাড়ছে। ২০২৪ সালে যোগ্যশ্রী প্রকল্পে প্রশিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ২৩ জন (আইআইটির ১৩ জন নিয়ে) জেইই (অ্যাডভান্সড), ৭৫ জন জেইই (মেন), ৪৩২ জন রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং ১১০ জন নিট-এ স্থানাধিকার করেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরের রেজাল্ট আরো বেশি ভালো হয়েছে’।
আরোও পড়ুনঃ আম খাওয়ার পরে ভুলেও খাবেন না এইসব খাবার, ভয়ানক বিপদ হতে পারে
সফল ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মমতা ব্যানার্জি লিখেছেন যে, ‘সামর্থ্য না থাকা ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে আমরা যোগ্যশ্রী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রশিক্ষিতদের সংখ্যাও ২০০০ ছাড়িয়েছে। আমরা চাই সমাজের দুর্বল তরে থাকা ছাত্র ছাত্রীরা আরও বেশি সফলতা অর্জন করুক। আমাদের রাজ্য থেকে আরো বেশি চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ তৈরি হোক এটাই আমার কাম্য। তাই এ বছর থেকে সংখ্যালঘু পিছিয়ে পড়া শ্রেণী ও সাধারণ বা জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রীরাও এই প্রকল্পের সুবিধা যাতে নিতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে’।