How To Become Crorepati: প্রতিটি মানুষের যেকোনো প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার জন্য অর্থের বিশেষ প্রয়োজন হয়। শারীরিক কোন কারণে কিংবা অভিভাবক হিসাবে সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য কিংবা নিজের পছন্দের বাড়ি-গাড়ি কেনার জন্য টাকার প্রয়োজন রয়েছে। তাই এই সমস্ত ক্ষেত্রে টাকার প্রয়োজন মেটানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের(Investment) কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকেই সন্তানের উচ্চশিক্ষা জন্য প্রচুর চিন্তা করে থাকেন। ভারতে উচ্চশিক্ষার খরচ অনেক বেশি। আবার বিদেশে পড়াতে চাইলে সেই খরচ আরো অনেক গুণ বেশি হয়। এই কারণে সন্তানের জন্মের সময় থেকেই বিনিয়োগ শুরু করে দেওয়া উচিত। যাতে সন্তানের উচ্চশিক্ষার সময় অভিভাবকদের কাছে অনেক টাকা মজুদ থাকে।
এক্ষেত্রে এসআইপির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে যদি সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা যায় তাহলে সন্তানের বয়স ১৮ বছর হলে মোটা তহবিল তৈরি হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসে ৫০০০ এবং ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করলেই বড়ো ফান্ড তৈরি করা সম্ভব হবে। চলুন তাহলে এই হিসেব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ধরুন কোন ব্যক্তি প্রত্যেক মাসে ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করছেন। তিনি একটানা ১৮ বছর এই বিনিয়োগ চালিয়ে গিয়েছেন। তাহলে তার বিনিয়োগের পরিমাণ মোট গিয়ে দাঁড়াবে ১০,৮০,০০০ টাকা। এরপর ১২ শতাংশ সুদ ধরলে তিনি সুদ থেকে পাবেন ২৭,৪৭,১৯৬ টাকা। আর সুদ এবং আসল মিলিয়ে ১৮ বছর পর তার হাতে আসবে ৩৮,২৭,১৯৬ টাকা।
আরো পড়ুন: CNG Bike: দামে কম, মানে এক্কেবারে দুর্ধর্ষ, চলবে ঝড়ের গতিতে, আসছে বিশ্বের প্রথম CNG বাইক
আবার যদি কোন ব্যক্তি প্রত্যেক মাসে ১০ হাজার টাকার এসআইপি করেন এবং ১৮ বছর ধরে তিনি এই টাকা বিনিয়োগ করলে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ২১,৬০,০০০ টাকা। এরপরে ১২ শতাংশ সুদ হিসেবে ধরলে তিনি সুদ পাবেন ৫৪,৯৪,৩৯২ টাকা। আর শোন এবং আসল মিলিয়ে রিটার্ন পাবেন ৭৬,৫৪,৩৯২ টাকা।
এরপর যদি কেউ এই বিনিয়োগের পরিমাণ প্রত্যেক বছর ৫% করে বৃদ্ধি করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। যার ফলে সুদ এবং আসল মিলিয়ে মোট রিটার্নের পরিমাণ এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।