Money Making Tips : দেশ জুড়ে যেরূপ চাকরির মন্দা তাতে চাকরির আশা ছেড়েছে প্রচুর যুবক-যুবতী। এই অবস্থায় কেউ কেউ ঝুকেছেন ব্যবসার দিকে। আবার অনেকে কি করবেন সেটা ভেবেই দিশেহারা। এই অবস্থায় শোনা যায় চাষ করে ধনী হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিজ্ঞানের নতুন কৌশল প্রয়োগ করে এক মরশুমে কৃষকদের আয় হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এর সব থেকে বড় উদাহরণ গোড্ডার পাথরগামার বাসিন্দা রঞ্জিত। রঞ্জিতবাবুর কোথায়, তিনি এক বিঘা জমিতে ভাড়া পদ্ধতিতে কুমড়োর চাষ করেছেন। এই কুমড়ার ফলন থেকে এখনো পর্যন্ত তার লাখ টাকারও বেশি আয় হয়েছে।
আরোও পড়ুনঃ লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে কর্মী নিচ্ছে HDFC ব্যাঙ্ক, আবেদন করলেই চাকরি পাক্কা!
কিভাবে শুধুমাত্র কুমড়ো চাষ করে লাখ টাকার রোজগার করা যায়? কোন জাতের কুমড়া চাষ করেছেন রঞ্জিতবাবু? কত টাকাই বা বিনিয়োগ করেছেন তিনি চাষ করার জন্য? এই সমস্ত প্রশ্ন এখন মানুষের মনে জমাট বেঁধেছে। আজ এই সমস্ত কিছুই বিস্তারিত জানাবো আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনে।
রঞ্জিত বাবু এই সকল প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, এই কুমড়ো চাষের জন্য রঞ্জিতবাবু মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। নিয়মিত সময় অন্তর শুধু ফসলের দেখভাল করতে গিয়েছিলেন তিনি। এই কারণেই তার ফলন দুর্দান্ত হয়েছে এবং এই ফলন থেকে বিনিয়োগের প্রায় চার গুণের বেশি আয় হয়েছে তার।
কুমড়া চাষের পদ্ধতি –
কিভাবে চাষ শুরু করেছেন এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হলে রঞ্জিত বাবু বলেন, সবার প্রথমে ৫ হাজার টাকা খরচ করে তিনি ট্রাক্টর দিয়ে পুরো ক্ষেত চাষ করেন। এরপর তিনি মাটির উর্বরতা বাড়াতে পুরো জমিতে ৫ হাজার টাকার সার দেন। এরপর ১০০০ টাকার কুমড়োর বীজ কেনেন তিনি। পুরো এক বিঘা জমিতে তিনি সেই বীজ রোপণ করেন। রঞ্জিতবাবু জানান, সবথেকে বেশি খরচ হয়েছে তার ভাড়া তৈরি করতে। পুরো জমিতে বাঁশ ও দড়ি দিয়ে ভাড়া তৈরি করেন তিনি। এর জন্য ১৫০০০ টাকা খরচ হয়েছে রঞ্জিতবাবুর।
সাধারণ ফলনের থেকে ৩ গুণ বেশি ফলন হয়েছে –
কুমড়া ফলন নিয়ে রঞ্জিত বাবু বলেন এর আগে তিনি যখন চিরাচরিত পদ্ধতিতে চাষ করতেন তখন দৈনিক মাত্র ৩০ থেকে ৪০ টি কুমড়ো তুলতে পারতেন। কিন্তু এখন গত ২ বছর ধরে তিনি এই নতুন প্রযুক্তিতে চাষ করছেন। আর এই পদ্ধতিতে আশ্চর্যজনকভাবে তার ফলন ৩ গুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রঞ্জিত বাবু বলেন, এখন তিনি দৈনিক ৮০ থেকে ১০০ টি কুমড়ো তোলেন ক্ষেত থেকে। ভাড়া বেঁধে চাষ করায় এক ধাক্কায় প্রায় তিনগুণ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এপ্রিল মাসে তিনি এই কাজ শুরু করেছিলেন। জুন মাস থেকে ফল আসতে শুরু করে গাছে। গোটা জুলাই মাস ধরে কুমড়ার ফলন হবে। এরপর কুমড়ো তুলে বাজারে বিক্রি করবেন রঞ্জিত বাবু। তিনি আশা করছেন এ বছর ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেও লাখ টাকার উপরে আয় করবেন তিনি।