Bird Flu Syndrome : বার্ড ফ্লু তে আক্রান্ত রাজ্যের দুই শিশু। ২ শিশুর মধ্যে একজনের বয়স আড়াই বছর এবং আর একজন চার বছরের। চার বছরের শিশু আক্রান্ত হয় মালদহে কালিয়াচকের অন্যদিকে আড়াই বছরের শিশুটি আক্রান্তের হয় কলকাতায় এসে। যদিও দীর্ঘ চিকিৎসার পর দুজনেই এখন সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকবিদ। তিন মাস আগেই এই সংক্রমন ছড়িয়েছিল। তবে সম্প্রতি এই খবর প্রকাশে আসতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন এই বার্ড ফ্লু নিয়ে অনেক প্রশ্ন জমাট বেধেছে। মুরগির মাংস কিংবা পোলট্রির ডিমে লুকিয়ে নেই তো বিপদ? সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়নস্বরূপ নিগম এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। আসুন জেনে নিন কি বলেছেন স্বাস্থ্য সচিব তার বিবৃতিতে।
আরোও পড়ুনঃ এবার ঘরে বসে চাকরির দুর্দান্ত সুযোগ দিচ্ছে ভারত সরকার, এক ঘন্টা কাজ করলেই পাবেন ২৫০০ টাকা!
স্বাস্থ্যসচিবের কথায়, মালদাহে এক শিশুর ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছিল। দীর্ঘদিন মালদহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার পর নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের সেই শিশুকে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। গত মার্চ-এপ্রিল মাসে শিশুটির ব্লাডের নমুনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় H9N2 ভাইরাসের স্ট্রেন পাওয়া যায় শিশুর দেহে। পরেরবার পরীক্ষা করলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। শিশুটি এখন সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
এর আগে আরেক শিশু কলকাতা থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ফিরে যায়। তখন তার দেহে H5N1 স্ট্রেনের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল।
তবে দুই শিশুর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস সংক্রান্ত যে সমীক্ষা হয় তাতেও সেভাবে কিছু পাওয়া যায়নি।
• মুরগির মাংস কিংবা পোলট্রির ডিমেই কি লুকিয়ে ভাইরাস?
পোলটির ডিম কিংবা মাংসের মধ্যে ভাইরাস লুকিয়ে কিনা এই বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব জানান, পোলট্রির ডিম ও মাংসের মধ্যে কিছু ধরা পড়েনি। বিভিন্ন খামারে কড়া নজরদারি রেখেও কোন হাস বা মুরগির মৃত্যুর খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তার স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে হাঁস মুরগি খাওয়ার উপর কোন নিষেধাজ্ঞা বা সতর্কতা জারি করা হয়নি।
আরোও পড়ুনঃ ফলের রাজা আম, কিন্তু ফলের রানি কে? কেবল জিনিয়াসরাই বলতে পারবে সঠিক উত্তরটি
প্রাণিসম্পদ দফতরের সচিব বিবেক কুমার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, এপ্রিল-মে মাসে ১৭২৮ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজ্যের কোথাও এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সোর্স পাওয়া যায়নি। মালদহ থেকে ৩৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, কিন্তু সেখানেও এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার অস্তিত্ব নেই। তাই ডিম, মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।