Online Business Idea with Zomato: শুধুমাত্র চাকরি নয়, বর্তমান সময়ে বহু মানুষ ব্যবসার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে অর্থ উপার্জন করতে চাইছেন। তবে হঠাৎ করে যে কোন ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করলে চলবে না। সঠিকভাবে ব্যবসার পরিকল্পনা করে তারপর এই ব্যবসায় নামা উচিত। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের কেমন একটি বিজনেস আইডিয়া(Business Idea) সম্পর্কে জানাবো।
যেখানে খুব সহজে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বর্তমানে যেহেতু ডিজিটালের যুগ তাই এই ব্যবসাটি আপনি অনলাইনে ঘরে বসেই করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজন রয়েছে জোম্যাটো অ্যাপ। এখন অনলাইনে খাবার ডেলিভারি করার ক্ষেত্রে বহু মানুষ জোম্যাটোর উপর নির্ভর করে থাকে।
আরো পড়ুন: Vi: ১৮০ জিবির রিচার্জ প্ল্যান! সঙ্গে আরো একগাদা অফার, Vi-র এই প্ল্যান না নিলে পস্তাবেন
এই অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করা পাশাপাশি এই অ্যাপ দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। সবথেকে সুবিধাজনক ব্যাপার হলো যে এখানে খুব বেশি অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। এই ব্যবসা থেকে লক্ষ টাকা রোজগার করার উপায় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাচ্ছি।
প্রথমে জোম্যাটোতে ক্লাউড কিচেন হিসেবে ব্যবসা রেজিস্টার করতে হবে। রান্না সম্পর্কে আগ্রহী রয়েছেন যে সমস্ত ব্যক্তিরা তারা এই ব্যবসা খুব সহজে শুরু করতে পারেন। একটি ক্লাউড কিচেন খুলে সেই কিচেনের একটি সুন্দর নাম দিয়ে জোম্যাটোতে রেজিস্টার করলে রেস্টুরেন্টের জন্য আবার FSSAI লাইসেন্স দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে হবে।
আরো পড়ুন: FD VS PPF: না জেনে টাকা বিনিয়োগ নয়! FD না কি PPF? কোথায় মিলবে বেশি সুবিধা?
মনে রাখবেন যেহেতু এটি খাদ্যদ্রব্য সম্পর্কিত একটি ব্যবসা তাই এখানে ফুড সেফটি এন্ড টেন্ডার অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার থেকে অবশ্যই অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই অনুমোদন নেওয়ার জন্য আপনাকে দেড় হাজার টাকা খরচ করতে হবে। এক্ষেত্রেও সময় লাগবে ৮ থেকে ১০ দিন মত।
এরপর ক্লাউড কিচেন রেজিস্টার করার জন্য FSSAI লাইসেন্সের একটি জেরক্স কপি, একটি বৈধ GST নম্বর, আবেদনকারীর প্যান কার্ডের জেরক্স, ব্যাঙ্ক একাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ, রেস্তোরাঁ মেনু এবং অন্তত পাঁচটি খাবারের ফটো প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে আবেদনের অন্তত ১০-২০ দিনের মধ্যে জোম্যাটোর তরফ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে।
এক্ষেত্রে খাবারের দাম এবং গুণমা যদি ভাল হয় তাহলে অর্ডারের পরিমাণ বাড়বে। সাধারণ সংস্থাগুলোর থেকে ১৫ শতাংশ কমিশন নেওয়া হয়। দিনে যদি অন্তত দশটি অর্ডার পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি খাবার থেকে ১০০ টাকা লাভ করা যায়। এক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব হবে।