আপনারা জানলে অবাক হবেন ঝাড়খণ্ডের সুবর্ণরেখা নদী যেন একটা আস্ত সোনার খনি। বাংলায় এই নদীকে সুবর্ণরেখা বলা হলেও হিন্দিতে এই নদীর নাম স্বর্ণরেখা। জলের স্রোতের সঙ্গে এই নদীতেই সোনার টুকরো চলে আসে।
এই সুবর্ণরেখা নদী ও তার উপনদী করকরিতে সোনার টুকরো পাওয়া যায়। এই নদী ঝাড়খণ্ডের রাচির কাছে উৎপন্ন হয়েছে যেটি পরবর্তীকালে পশ্চিমবাংলা এবং উড়িষ্যার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের রাচি শহর থেকে এই নদীর দূরত্ব মাত্র ১৬ কিলোমিটার। আর এই নদীর দৈর্ঘ্য ৪৭৪ কিমি। তবে সত্যিই কি এই নদীর স্রোতে সোনার টুকরো চলে আসে?
আরো পড়ুন: Fixed Deposit: IDBI ব্যাঙ্কের বিশেষ FD, মাত্র ৩৭৫ দিনে হতে পারবেন কোটিপতি! জানুন কিভাবে?
দীর্ঘদিন ধরে সুবর্ণরেখার স্রোতে সোনা চলে আসার রহস্য তৈরি করতে চেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না। ভূতাত্তিকদের মতে সোনা রয়েছে এমন পাথরের ওপর দিয়ে সুবর্ণরেখা নদীর জল স্রোত প্রবাহিত হয়েছে বলে সোনা পাওয়া যায়।
এই নদী আশেপাশে বসবাসকারী মানুষজনেরা এই নদী থেকে সোনার কুচি থেকেই আয় করে থাকেন। সারান্দা ও তমার এলাকার সকালবেলা থেকে এই নদীতে সোনার খোঁজে ছুটে বেড়ান। এই এলাকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী ঝোরার গোষ্ঠীভুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নদী থেকে ওই সোনা কুড়িয়ে পাওয়ার কথা বলে আসছে। তাই এই এলাকার নাম দেওয়া হয়েছে সোনাঝুরি।
এই বিষয়টি প্রসঙ্গে ২০১২ সালের গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটি দুটো আলাদা বেসরকারি সংস্থাকেও এলাকার সমীক্ষা করানো হয়েছিল। তবে এর মধ্য থেকে কোন ইতিবাচক উত্তর আসেনি বলে সরকার এখানে সোনার খনির খোঁজে আর আসেনি। তবে নতুন করে আবার সোনার খনি নিয়ে প্রসঙ্গ ওঠার দরুণ সরকারের তরফ থেকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।