Money Making Strategy : করোনা আবহে দেশজুড়ে যে দীর্ঘ লকডাউন চলেছে তাতে কর্মসংস্থান হারিয়েছে বহু মানুষ। গোটা দেশে হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্বের সংখ্যা। এই মহামারীদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে যে সেই ঘাটতি পূরণ করে ওঠা এখনো সম্ভব হয়নি। প্রচুর মানুষ চাকরির আশা হারিয়ে ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। চাষাবাদেও আগ্রহ দেখিয়েছে প্রচুর মানুষ। চাষ করে ভালো টাকা রোজগার করেছেন এরকম প্রচুর মানুষ রয়েছে।
আরোও পড়ুন >> ফের বাতিল কয়েকশো ট্রেন, বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে লিস্ট দেখে নিন
বলে রাখি, চাষের ক্ষেত্রে এখন ভালো লাভ হবার জায়গা হল মাশরুম চাষ। আগে শুধুমাত্র পাহাড়ি এলাকাতে এই চাষ করা হতো। পাহাড়ি এলাকা এই চাষের জন্য উপযোগী বলে বিবেচিত হলেও এখন সমতলেও মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। কম সময় অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে মাশরুম চাষ দারুন একটি বিকল্প। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগ চা বাগানের মহিলাদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেন। এই শিবিরে কিভাবে ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করে তারা লাভবান হতে পারবেন এই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করা হয়।
আমাদের দেশে মূলত তিন ধরনের মাশরুম চাষ হয়ে থাকে। যথা- বোতাম, পোয়াল, ঝিনুক। এরমধ্যে ঝিনুক মাশরুম বা ওয়েস্টার মাশরুম খুব সহজেই বাড়িতে চাষ করা যায়। এই চাষ অত্যন্ত লাভজনক। মাশরুমের চাহিদা বাজারে অনেক বেশি, তাই মাশরুম চাষে লোকসান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই চাষ করতেন খুব একটা বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না। স্বল্প পুঁজিতে, স্বল্প সময় আপনি যদি লাভবান হতে চান তাহলে এই ঝিনুক প্রজাতির মাশরুম চাষ আপনার জন্য একেবারে উপযুক্ত একটি ব্যবসা হতে পারে।
• মাশরুম চাষের উপযুক্ত সময় –
গরমকাল টুকু বাদ দিলে প্রায় সারা বছরই মাশরুম চাষ করা যেতে পারে। তবে সব থেকে ভালো হয় সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে এই চাষ করা। এরপর বাকি সময়টা অর্থাৎ সাত থেকে আট মাস পর্যন্ত মাশরুম শুকিয়ে রেখে দিতে পারবেন। প্রশিক্ষক অমরেন্দ্র পান্ডে এই মাশরুম চাষের প্রসঙ্গে বলেন, মাশরুম ২ মাসের মধ্যেই ফলন হয়ে যায়। গোটা বছর জুড়ে মাশরুম চাষ করা যায়। বাজারে মাশরুমের চাহিদা অনেক বেশি, তাই মাশরুম চাষ করা স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত লাভজনক।
আরোও পড়ুন >> ফুলেফেঁপে উঠবে আপনার পকেট, আজই শুরু করুন এই ব্যবসা, রোজ কামাবেন মুঠো মুঠো টাকা
একটি বিশেষ সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ডুয়ার্সের চা বাগানের মহিলারা এখন চা পাতা তোলা ছাড়াও নতুন কিছু করতে চাইছে। তাদের জন্য এই ঝিনুক অর্থাৎ ওয়েস্টার মাশরুম চাষ অত্যন্ত লাভজনক। অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে সামান্য পুঁজি লাগিয়েই এই চাষ করা যায়। তাই কোফাম বিভাগের পক্ষ থেকে ডুয়ার্সের ভিন্ন চা বাগান এলাকা গুলিতে এই মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দেবার প্রচেষ্টা চলছে। কিভাবে মাশরুম চাষ করা যেতে পারে? মাশরুমে রক্ষণাবেক্ষণ কিভাবে করতে হবে? কিভাবে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়? এই সব কিছুই শেখানো হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এই মাশরুম চাষ মহিলাদের আর্থিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী করে তুলতে সাহায্য করবে।