Cultivation Of Tuberose : সারা বছর বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকে ফুলের। আপনি যদি কোনো ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন এবং আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত জায়গা থাকে তাহলে আপনি এই ফুল চাষ করে হতে পারবেন মালামাল। সম্প্রতি গ্রামীণ চাষিরা ঝুঁকেছেন এই ফুল চাষের দিকে। এই ফুল বাজারে সারা বছরই পাওয়া যায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাজানো থেকে শুরু করে মৃত্যু শয্যা, সব ক্ষেত্রে এই ফুলের চাহিদা ব্যাপক।
আরোও পড়ুন >> SBI-তে অ্যাকাউন্ট খুললেই সোনায় সোহাগা, এই স্কিমে প্রতি মাসে পাবেন ৫৮৩৩ টাকা!
ধান চাষ করে খুব একটা বেশি লাভ হচ্ছে না আর চাষীদের। তাই এখন চাষিরা বিভিন্ন লাভজনক ব্যবসার দিকে ঝোঁক দিয়েছেন। সেই মতে সম্প্রতি একদল চাষী মেতে উঠেছে রজনীগন্ধা ফুল চাষে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই ফুলের চাষ বিকল্প আয়ের দিশা দেখাচ্ছে চাষীদের। পিংলা চাষীরা এবছর তাই রজনীগন্ধা ফুলের চাষে ঝোঁক দিয়েছেন।
পিংলার গোগ্রামে বিঘার পর বিঘা জমিতে এবছর চাষ হচ্ছে হাইব্রিড প্রজাতির রজনীগন্ধা। এই ফুলের চাষ করে নাকি মোটা অঙ্কের লাভের মুখ দেখেছেন গ্রামীণ চাষীরা। তাই এ বছর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার গোগ্রামে অধিকাংশ চাষিরাই এখন রজনীগন্ধার চাষ করছেন। চাষীদের কথায়, একর প্রতি একবার চাষে প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে। বছরে দুবার এই ফুলের চাষ হয়। নদীয়া জেলার রানাঘাটে প্রজ্জলা প্রজাতির রজনীগন্ধা চাষ হত। এটি হাইব্রিড প্রজাতির রজনীগন্ধা ফুল।
বর্তমানে পিংলা এলাকার বেশিরভাগ চাষিরা ধান চাষের পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে রজনীগন্ধা ফুলের চাষ শুরু করেছেন। রোপনের সময় থেকে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে ফুল ফোটে এই গাছের। সাধারণত গরমের সময় এই ফুলের গাছের চারা রোপন করতে হয়। একর প্রতি ওষুধ ও চাষের শ্রমিক সহ মোট খরচ হয় প্রায় এক লক্ষ টাকা। ৬ মাস পরে লাভের অংক দাঁড়ায় প্রায় দেড় থেকে দু লাখ টাকার কাছাকাছি। গরমের সময় রজনীগন্ধার চারা রোপনের ফলে দুর্গাপূজার সময় বেশ ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাই লাভের অঙ্কটাও অনেক বেশি থাকে। কোলাঘাট সহ একাধিক ফুলবাজারে এই ফুল বিক্রি হয়। সম্প্রতি পিংলার গো গ্রামেও ফুলের বাজার তৈরি হয়েছে।
আরোও পড়ুন >> ফুলেফেঁপে উঠবে আপনার পকেট, আজই শুরু করুন এই ব্যবসা, রোজ কামাবেন মুঠো মুঠো টাকা
এই হাইব্রিড প্রজাতিক রজনীগন্ধ চাষে কোন ক্ষতি নেই। বরং লাভ রয়েছে প্রচুর। শুধু তাই নয় ফুল চাষের পরেও রজনীগন্ধার কন্দ বা মূল পরবর্তীতে বীজ হিসেবে বিক্রি করা হয়। যার ফলে এখান থেকেও বাড়তি লাভ থাকে চাষিদের। এমন কোন অনুষ্ঠান নেই যেখানে রজনীগন্ধা ফুলের প্রয়োজন হয় না। এরফলে স্বল্প খরচের বেশ লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।