NPS Scheme: অবসরকালে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে সরকারি এই স্কিম, মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েই চালু করুন

NPS Scheme: ভবিষ্যৎ সুন্দর ও সুরক্ষিত করতে উপার্জিত অর্থের কিছু অংশ সঞ্চয় করা উচিত প্রত্যেক মানুষেরই। কিন্তু কোন খাতে বিনিয়োগ করলে টাকা সঞ্চয় হওয়ার পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকবে এবং অবসরকালীন সময়…

Published By: Debapriya Sarkar | Published On:

NPS Scheme: ভবিষ্যৎ সুন্দর ও সুরক্ষিত করতে উপার্জিত অর্থের কিছু অংশ সঞ্চয় করা উচিত প্রত্যেক মানুষেরই। কিন্তু কোন খাতে বিনিয়োগ করলে টাকা সঞ্চয় হওয়ার পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকবে এবং অবসরকালীন সময় প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ পরিমাণ টাকা পেনশন পাবেন, সেটারই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না অনেকে। আজকের এই প্রতিবেদন সেই সকল ব্যক্তিদের জন্য যারা তাদের নিজেদের উপার্জিত অর্থের কিছু অংশ সুরক্ষিতভাবে সঞ্চয় করতে এবং অবসরকালীন সময়ে প্রতিমাসে আয়ের চিন্তা থেকে মুক্ত হতে চাইছেন। তাই আপনি যদি আপনার এবং আপনার পরিবারের ভবিষ্যৎ সুন্দর ও সুরক্ষিত করতে চান, তাহলে শেষ অব্দি চোখ রাখুন আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে (National pension scheme).

ভবিষ্যতের জন্য আপনি যদি টাকা বিনিয়োগ করতে চান তাহলে এর জন্য জাতীয় পেনশন স্কিম অত্যন্ত ভালো একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করলে অবসরকালীন সময় আয় চালিয়ে যেতে পারবেন। আজ আমরা আপনাদের যে প্রকল্পটি সম্বন্ধে জানাতে চলেছি সেটি একটি সরকারি প্রকল্প। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (PFRDA) এই প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য দায়বদ্ধ। ২০০৪ সালে চালু করা হয় এই প্রকল্পটি।

আরোও পড়ুনঃ এসে গেল গোয়েন্দা বিভাগে চাকরির দুর্দান্ত সুযোগ, আবেদন পদ্ধতি দেখে নিন

২০০৪ সালে শুধুমাত্র সরকারি চাকুরিজীবীরা এই সুবিধা পেতেন। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে সকল শ্রেণীর কর্মীদের জন্য এই পেনশনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এই সুবিধার পাশাপাশি NPS-এ কর সাশ্রয়ও করা হয়। মূলত কর সাশ্রয় করার কারণে এই স্কিমটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। NPS -এর অধীনে মূলত দু ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। একটি টিয়ার-১ অ্যাকাউন্ট। এটি মূলত একটি অবসর অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়নি নিয়োগকর্তার দ্বারা। অপরটি হল টিয়ার-২ অ্যাকাউন্ট। এটি হল ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টটি মূলত বেতনভোগী ব্যক্তিদের জন্য। এখানে সকল বেতনভোগী ব্যক্তিরা বিনিয়োগ করতে পারবেন।

NPS-এ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম :-

NPS-এ টিয়ার-১ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ৫০০ টাকা এবং টিয়ার-২ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ১০০০ টাকা জামা করতে হয়। এই উভয় অ্যাকাউন্টেই বিনিয়োগের কোনো সীমা পরিসীমা নেই। প্রবাসী ভারতীয়রাও এই NPS-এ বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে সেই ব্যক্তি যদি তার নাগরিকত্ব পরিবর্তন করেন, সে ক্ষেত্রে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কারা এনপিএস-এ বিনিয়োগ করতে পারবেন?

সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের ব্যক্তিরা NPS-এ বিনিয়োগ করতে পারবেন।‌ তবে এই অ্যাকাউন্ট ৭০ বছর পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। ‌ বিনিয়োগকারির বয়স যখন ৬০ বছর বয়সে পৌঁছবে তখন মোট বিনিয়োগের ন্যূনতম ৪০ শতাংশ পরিমাণ সহ তহবিল থেকে একটি বার্ষিকী পরিকল্পনা নিতে হবে। এই বার্ষিক পরিকল্পনাটি বিনিয়োগ করেন নিয়মিত আয়ের একমাত্র উৎস হবে। বাকি ৬০ শতাংশ আমানত বিনিয়োগকারী এককালীন তুলে নিতে পারবেন।

আরোও পড়ুনঃ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাবধান হয়ে যান, আপনাদের ভালোর জন্যই সতর্ক করছে সরকার !

মার্কেট ভ্যালুর উপর নির্ভর করে রিটার্ন দেয় NPS। কিছুদিন আগে টায়ার-১ এর ইক্যুইটি অ্যাসেট ক্লাস ৯ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে। NPS অ্যাকাউন্ট খোলার পর ৩ বছর শেষ হওয়ার পরেই বিনিয়োগকৃত টাকা প্রত্যাহার করা যেতে পারে। তবে টিয়ার -১ এর জরুরীকালীন পরিস্থিতিতে মেয়াদপূর্তির আগে অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করা যেতে পারে। টায়ার-২ এর ক্ষেত্রে যেকোনো সময় টাকা তোলা যাবে। একজন বিনিয়োগকারী মেয়াদপূর্তির আগে NPS তহবিল থেকে মাত্র ৩ বার অর্থ উত্তোলন করতে পারবে।

 

 

 

 

 

About Author
Debapriya Sarkar

দেবপ্রিয়া বিগত বেশ কিছু বছর ধরে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত রয়েছেন। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় তার হ...