Pharmacist Course : ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা কমবেশি প্রত্যেকেরই থাকে। পড়াশোনা শেষ করার পর কোন কোর্স করলে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে, এই চিন্তা এখন প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মনে। আজ এই প্রতিবেদন মূলত সেই সব শিক্ষার্থীর জন্যই যারা সঠিক কোর্স সম্বন্ধে এখনো অবগত নয়। আমি প্রতিবেদনে আপনাদের এমন একটি কোর্স সম্বন্ধে জানাবো যেটা করলে নিশ্চিত চাকরি, ভালো বেতন ও ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত থাকবে। তাহলে দেরি না করে আসুন জেনে নিন কোর্সটি সম্বন্ধে বিস্তারিত সমস্ত তথ্য।
আরোও পড়ুন » একচার্জেই ঝড়ের গতিতে ছুটবে ৪৫ কিমি! সস্তায় দুর্দান্ত মানের ইলেকট্রিক সাইকেল লঞ্চ করল আম্বানির Jio
আজই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের যে কোর্স সম্বন্ধে জানাবো সেটি হল ফার্মাসিস্টের কোর্স। এই কোর্সের গুরুত্ব অনেক বেশি। ফার্মাসিস্ট করছে ভর্তি হলে আর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এই কোর্সে আপনি স্বাস্থ্য পরিষেবার মাধ্যমে সমাজসেবার সেবারও সুযোগ পাবেন। আসুন জেনে নিন ফার্মাসিস্ট কোর্সে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা, নির্বাচন প্রক্রিয়া, বেতন এবং চাকরির সুযোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিতভাবে।
• ফার্মাসিস্ট কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য কি যোগ্যতা প্রয়োজন?
ফার্মাসিস্ট কোর্সে ভর্তি হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা হল পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীবন বিজ্ঞান বা গণিত নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণী পাস করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থী ব্যাচেলার অফ ফার্মেসি (B.Pharm) নিয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। এটি মোট চার বছরের কোর্স। এরপর শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়াতে চাইলে শিক্ষার্থী মাস্টার অফ ফার্মেসি (M.Pharm) করতে পারে। এই করছি দু বছরের কোর্স। ফার্মেসিতে পিএইচডিও করা যায়। এক্ষেত্রে গবেষণা এবং শিক্ষকতার ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ থাকবে
• নির্বাচন প্রক্রিয়া –
ব্যাচেলর অফ ফার্মেসিতে ভর্তির জন্য রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত প্রবেশিকা পরীক্ষার পাস করতে হবে। এরপর মেধা তালিকার ভিত্তিতে হবে কাউন্সেলিং। সেই অনুযায়ী নির্বাচিত পড়ুয়ারা বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হতে পারবে।
• কোর্স শেষে কোথায় চাকরি পাওয়া যাবে ?
হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ক্লিনিকগুলিতে ফার্মাসিস্ট এর প্রয়োজন হয়। কোর্সের পর পড়ুয়ারা হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে চাকরির সুযোগ পেয়ে যাবে। আসুন জেনে নিন ফার্মাসিস্টরা কোন কোন ক্ষেত্রে চাকরি সুযোগ পেয়ে থাকেন।
১. ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি : ওষুধের উৎপাদন, গুণমান নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণার কাজ করার জন্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করে থাকে।
২. খুচরো ফার্মেসি : ব্যাচেলার অফ ফার্মেসি পাশ করে যে কেউ ওষুধের দোকান খুলতে পারেন বা খুচরো ফার্মেসিতে কাজ করতে পারেন।
৩. রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স : সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ওষুধের রেজিস্ট্রেশন এবং অন্যান্য কাজের জন্যও ফার্মাসিস্ট প্রয়োজন হয়। এখানেও কাজ পেতে পারে ফার্মাসিস্টরা।
৪. শিক্ষকতা : শিক্ষকতার দুনিয়ায় আসতে চাইলে ফার্মেসি কলেজে অধ্যাপক হিসাবেও কাজ করা যায়।
আরোও পড়ুন » আমুলের সঙ্গে ব্যবসার সুবর্ণ সুযোগ, প্রতি মাসে রোজগার ২-৩ লাখ টাকা! এইভাবে করুন আবেদন
• বেতন –
ফার্মাসিস্টদের বেতন নির্ভর করে তাদের কাজের ভিত্তিতে। যেমন অভিজ্ঞতা, কাজের ক্ষেত্রে, কাজের অবস্থান ইত্যাদি। একজন নবীন ফার্মাসিস্টের গড় বেতন বছরে আড়াই লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অভিজ্ঞতার সাথে এই বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে একজন সিনিয়র ফার্মাসিস্টের বার্ষিক গড় বেতন ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্তও কিংবা তারও বেশি হতে পারে।