Train Ticket Checking System : আমাদের দেশের সবথেকে উন্নত ব্যবস্থা হল রেল পরিবহন ব্যবস্থা। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ নিজের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায় এই রেলের মাধ্যমে। রেলের ভাড়া, খুব সামান্য হওয়ার কারণে এই পরিবহন ব্যবস্থা দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত সুবিধা জনক। কিন্তু তারপরেও প্রচুর যাত্রী আছে যারা রেলের টিকিট কাটে না। বিনা টিকিটে রেল যাত্রা দণ্ডনীয় অপরাধ। ধরা পড়লে হতে পারে জরিমানা। এই কথা জানা সত্ত্বেও প্রচুর মানুষ টিকিট না কেটেই রেলে মাধ্যমে যাতায়াত করে থাকেন। এই সমস্যার সমাধানে এবার নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক যাত্রী যাতে রেলের টিকিট কাটে তার সাথে বিনা টিকিটে যাত্রা রুখতে করা পদক্ষেপ গ্রহণ করল পূর্ব রেল।
আরোও পড়ুনঃ ফের বাতিল ১৬৬ টি ট্রেন! চরম দুর্ভোগের আশঙ্কায় নিত্য যাত্রীরা
উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জননসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এক ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে জানান যে, যে কোনও দিন, যে কোনও সময়, যে কোনও জায়াগায় টিকিট চেকিংয়ের স্পেশ্যাল ড্রাইভ হতে পারে। এই সময় কোনও ব্যক্তি যদি বিনা টিকিটে ধরা পড়েন তাহলে সেটা কোনোভাবেই সম্মানজনক হবে না সেই ব্যক্তির জন্য। ভিডিও বার্তায় এ কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। আধিকারিক কৌশিক মিত্রর কথায়, ‘ ধরুন বিকেল ৪ টে – ৫ টা নাগাদড কোন স্টেশন থেকে চেকিং স্কোয়ার্ড ট্রেনে উঠলো। সেই সময় কোন যাত্রী যদি বিনা টিকিটে ধরা পড়ে তাহলে সমাজের কাছে সেই যাত্রীর কতটা সম্মানহানি হবে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন’। আরো বলেন যে, ‘এমন এমন জায়গায় এই স্পেশাল চেকিং ড্রাইভ হবে যেখানে কোনদিনও কেউ ভাবতেও পারে না’। আধিকারিক কৌশিক মিত্রর বার্তা অনুযায়ী, ছোট ছোট স্টেশনগুলো থেকেই এই ধরনের চেকিং ড্রাইভ শুরু হবে।
• স্পেশাল চেকিং ড্রাইভ ব্যবস্থার কারণ –
পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, এই টিকিট চেকিং এর মাধ্যমে যে রেল প্রচুর লাভ করবে এমনটা নয়। এই চেকিং এর প্রধান উদ্দেশ্য হল যাত্রীদের বোঝানো যে তাদের সুবিধার জন্যই রেল টিকিট কাউন্টার বা UTS সিস্টেম চালু করেছে। রেলের টিকিটের ভাড়া অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় অনেকটাই কম। তাই টিকিট থাকলে সবদিক থেকেই সুবিধা যাত্রীদের। শুধু তাই নয় প্রত্যেক যাত্রীর উচিত তার সহযাত্রীকে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।
আরোও পড়ুনঃ মাত্র ৩ মাসেই পকেটে ঢুকবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা! জানেন কোন ব্যবসায় হবে ব্যাপক রোজগার?
প্রত্যেক জাতির ট্রেনের টিকিট কাটার বিষয়টি নিয়ে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তিতে কিছু কিছু জায়গার ট্রেন ও বাসের ভাড়ার তুলনাও টেনেছে পূর্ব রেল। ট্রেন ও বাসের ভাড়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে রেলের স্পষ্ট উল্লেখিত তালিকা অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, হাওড়া থেকে শ্রীরামপুরের বাসের ভাড়া যেখানে প্রায় ৪০ টাকা, সেখানে হাওড়া থেকে শ্রীরামপুরের ট্রেনের ভাড়া মাত্র ৫ টাকা। আবার ব্যান্ডেল থেকে শেওড়াফুলির বাস ভাড়া যেখানে প্রায় ৪৫ টাকা, সেখানে ট্রেনের মাধ্যমে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে খরচ হয় ৫ টাকা। অন্যদিকে শিয়ালদা থেকে নৈহাটির বাসের ভাড়া প্রায় ৬০ টাকা। কিন্তু এই দূরত্বের ট্রেনের টিকিটের দাম ১০ টাকা। আবার শিয়ালদা থেকে ক্যানিং বাসে করে যেতে ভাড়া গুণতে হতে পারে ৭০ টাকা। কিন্তু ট্রেনে গেলে মাত্র ১০ টাকা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে দুর্গাপুর থেকে আসনসোলের বাসের ভাড়া প্রায় ৬০ টাকা। কিন্তু ট্রেনে এই দূরত্বের ভাড়া মাত্র ১০ টাকা।